চুয়াডাঙ্গা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৩৩৪ রান


অ্যান্টিগা টেস্টে ২৬৯ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণার পর ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। টাইগার পেসার তাসকিনের বোলিং তোপে ১৫২ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসকিন একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১৫২ রানে অলআউট হওয়ায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৩৩। এই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩৪ রান।

সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্রেইগ ব্রাফেট ও মিকাইল লুইস। প্রথম চার ওভারেই তারা তুলে নেন ২১ রান। তবে এরপরের ওভারেই এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিকাইল লুইস। তার বিদায়ে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

মিকাইল লুইসের বিদায়ের পর কিসি কার্টিকে নিয়ে জুটি গড়েন ক্রেইগ ব্রাফেট। তবে এই ‍জটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। মিকাইল লুইসের পর কিসি কার্টিকেও ফেরান তিনি। তাসকিনের শিকার হয়ে ১৩ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লুইস।

তাসকিনের পরের ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আগাত হানেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ক্রেইগ ব্রাফেট। আউট হওয়ার আগে করেন ৩৫ বলে ২৩ রান। তার বিদায়ে ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কাভেম হজ ও অলিক আথানেজ। এই জুটিতে ভর করে ২৫ ওভারে ৬১ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতি থেকে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। এবার তাসকিনের শিকার হন কাভেম হজ। ৫৮ বলে ১৫ রান করে তাসকিনের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হজ। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।

কাভেম হজের বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান অলিক আথানেজ ও জাস্টিন গ্রেভস। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান অলিক আথানেজ। আর জাস্টিন গ্রেভসকে ফেরান তাসকিন। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৯৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৯৫ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জশুয়া ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। তবে ভযঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান তাইজুল ইসলাম।

তাইজুলের বলে ব্যাকওয়ার্ড বদলি নামা ফিল্ডার হাসান মুরাদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জশুয়া ডি সিলভা। তার বিদায়ে ভাঙে ২৯ রানের জুটি।

জশুয়া ডি সিলভার বিদায়ের পর কেমার রোচকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন আলজারি জোসেফ। অষ্টম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ২০। দলীয় ১৪৪ রানে আলজারি জোসেফের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।

এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৪৬ ওভার ১ বলে ১৫২ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনংস।যার ফলে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৩৩। এই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩৪ রান। তাসকিনের ৬ উইকেট ছাড়া মিরাজ শিকার করেন ২ উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে শাহাদাত হোসেন দিপু ফিরে গেলেও মুমিনুল হক ও লিটন দাস মিলে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে দ্বিতীয় সেশনে ছন্দ হারান এই দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুমিনুল হক। মুমিনুলের পর ৪০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস।

তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় টাইগাররা। ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)





সুত্র ঢাকাটাইমস

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৩৩৪ রান

প্রকাশ : ০৪:৪৮:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪


অ্যান্টিগা টেস্টে ২৬৯ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণার পর ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। টাইগার পেসার তাসকিনের বোলিং তোপে ১৫২ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসকিন একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১৫২ রানে অলআউট হওয়ায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৩৩। এই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩৪ রান।

সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন ক্রেইগ ব্রাফেট ও মিকাইল লুইস। প্রথম চার ওভারেই তারা তুলে নেন ২১ রান। তবে এরপরের ওভারেই এই জুটিকে থামান তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিকাইল লুইস। তার বিদায়ে ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

মিকাইল লুইসের বিদায়ের পর কিসি কার্টিকে নিয়ে জুটি গড়েন ক্রেইগ ব্রাফেট। তবে এই ‍জটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। মিকাইল লুইসের পর কিসি কার্টিকেও ফেরান তিনি। তাসকিনের শিকার হয়ে ১৩ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লুইস।

তাসকিনের পরের ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আগাত হানেন আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ক্রেইগ ব্রাফেট। আউট হওয়ার আগে করেন ৩৫ বলে ২৩ রান। তার বিদায়ে ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন কাভেম হজ ও অলিক আথানেজ। এই জুটিতে ভর করে ২৫ ওভারে ৬১ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।

বিরতি থেকে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। এবার তাসকিনের শিকার হন কাভেম হজ। ৫৮ বলে ১৫ রান করে তাসকিনের বলে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন হজ। তার বিদায়ে ভাঙে ৬৮ রানের জুটি।

কাভেম হজের বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান অলিক আথানেজ ও জাস্টিন গ্রেভস। মেহেদী হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান অলিক আথানেজ। আর জাস্টিন গ্রেভসকে ফেরান তাসকিন। এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে ৯৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

৯৫ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জশুয়া ডি সিলভা ও আলজারি জোসেফ। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। তবে ভযঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান তাইজুল ইসলাম।

তাইজুলের বলে ব্যাকওয়ার্ড বদলি নামা ফিল্ডার হাসান মুরাদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জশুয়া ডি সিলভা। তার বিদায়ে ভাঙে ২৯ রানের জুটি।

জশুয়া ডি সিলভার বিদায়ের পর কেমার রোচকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন আলজারি জোসেফ। অষ্টম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ২০। দলীয় ১৪৪ রানে আলজারি জোসেফের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।

এই জুটি ভাঙার পর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ৪৬ ওভার ১ বলে ১৫২ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনংস।যার ফলে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৩৩। এই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৩৪ রান। তাসকিনের ৬ উইকেট ছাড়া মিরাজ শিকার করেন ২ উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম।

এর আগে অ্যান্টিগা টেস্টে ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে শাহাদাত হোসেন দিপু ফিরে গেলেও মুমিনুল হক ও লিটন দাস মিলে বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে দ্বিতীয় সেশনে ছন্দ হারান এই দুই ব্যাটার। ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুমিনুল হক। মুমিনুলের পর ৪০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস।

তাদের বিদায়ে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে জাকের আলি ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে ফলোঅন এড়ায় টাইগাররা। ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬ নভেম্বর/এনবিডব্লিউ)





সুত্র ঢাকাটাইমস