চুয়াডাঙ্গা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
দামুড়হুদা উপজেলা পর্যায়ে এসএসসি ৯২ব্যাচের পূনর্মিলনীর প্রস্তুতিসভা ও কমিটি গঠন দামুড়হুদার ডুগডুগি গ্রামে বাল্য বিয়ের আয়োজন:ভ্রাম্যমাণ আদালতে কনের পিতাকে জরিমানা দামুড়হুদা-হাউলী ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে তৃষ্ণাম্তদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শরবত বিতরণ চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ আটক চুয়াডাঙ্গায় দে‌শের স‌র্বোচ্চ দবদা‌হে প্রশংসায় ভাস‌ছে এক পু‌লিশ সদস্য দামুড়হুদায় বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ নামাজ আদায় দামুড়হুদায় হজ্জ ও ওমরা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  দামুড়হুদায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্বোধন করলেন ইউএনও রোকসানা মিতা  দামুড়হুদায় মাঠদিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

লালমনিরহাটে পেঁয়াজের বাজারে মারামারি

পেঁয়াজ একটি মসলা। আর এই মসলা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে অস্থির হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের বাজার। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার গোশালা বাজারে পেয়াজ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই পেয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকালে ক্রেতারা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গেলে প্রতি কেজির দাম ২২০ টাকা চান তারা। এ সময় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্রেতার সঙ্গে মারামারি লেগে যায়।

 

খবর পেয়ে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলা উপসহকারী মাসুম উদ দৌলা। এ সময় চেম্বার অব কমার্স, বাজার কমিটি ও সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোশালা বাজারে যান। এ ছাড়া পেঁয়াজের আড়তগুলো তদারকি করেন তারা। এ সময় বেশ কয়েকটি আড়তদারকে আর্থিক জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

 

গোশালা বাজারে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘কি রে ভাই আমরা কোন দেশে বাস করি? গতকালকেই পেঁয়াজ বিক্রি হলো ১০০ টাকায়, আর রাত পেরোনোর পর পরই সেই পেয়াজ বিক্রি করছে ২০০ কুড়ি টাকায়। একজন দিনমজুরের আয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই মজুর কীভাবে এত দাম দিয়ে পেয়াজ কিনবে?’

 

রবিউল নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ‘সকালে আড়ত থেকে এক ধারা (৫ কেজি) পেঁয়াজ কিনেছি ৯০০ টাকায়। সব খরচ মিলে আমার প্রায় হাজার টাকা পার হয়ে গেছে। তাহলে ২০০ টাকায় বিক্রি করব, নাকি লস করে বিক্রি করবো। আমাদের জিজ্ঞেস না করে আড়তদারদের কাছে যান, তাদের ধরেন।’

 

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলা উপ-সহকারী মাসুম উদ দৌলা জানান, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে মারামারি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাজার তদারকি করতে অভিযান চালাই। এ সময় অধিক দামে পেয়াজ বিক্রির দায়ে ৬-৭ ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। আমাদের এ অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

দামুড়হুদা উপজেলা পর্যায়ে এসএসসি ৯২ব্যাচের পূনর্মিলনীর প্রস্তুতিসভা ও কমিটি গঠন

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

লালমনিরহাটে পেঁয়াজের বাজারে মারামারি

প্রকাশ : ১১:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

পেঁয়াজ একটি মসলা। আর এই মসলা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে অস্থির হয়ে উঠেছে লালমনিরহাটের বাজার। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার গোশালা বাজারে পেয়াজ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই পেয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকালে ক্রেতারা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গেলে প্রতি কেজির দাম ২২০ টাকা চান তারা। এ সময় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্রেতার সঙ্গে মারামারি লেগে যায়।

 

খবর পেয়ে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলা উপসহকারী মাসুম উদ দৌলা। এ সময় চেম্বার অব কমার্স, বাজার কমিটি ও সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোশালা বাজারে যান। এ ছাড়া পেঁয়াজের আড়তগুলো তদারকি করেন তারা। এ সময় বেশ কয়েকটি আড়তদারকে আর্থিক জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।

 

গোশালা বাজারে এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘কি রে ভাই আমরা কোন দেশে বাস করি? গতকালকেই পেঁয়াজ বিক্রি হলো ১০০ টাকায়, আর রাত পেরোনোর পর পরই সেই পেয়াজ বিক্রি করছে ২০০ কুড়ি টাকায়। একজন দিনমজুরের আয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই মজুর কীভাবে এত দাম দিয়ে পেয়াজ কিনবে?’

 

রবিউল নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ‘সকালে আড়ত থেকে এক ধারা (৫ কেজি) পেঁয়াজ কিনেছি ৯০০ টাকায়। সব খরচ মিলে আমার প্রায় হাজার টাকা পার হয়ে গেছে। তাহলে ২০০ টাকায় বিক্রি করব, নাকি লস করে বিক্রি করবো। আমাদের জিজ্ঞেস না করে আড়তদারদের কাছে যান, তাদের ধরেন।’

 

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লালমনিরহাট জেলা উপ-সহকারী মাসুম উদ দৌলা জানান, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়া নিয়ে মারামারি বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাজার তদারকি করতে অভিযান চালাই। এ সময় অধিক দামে পেয়াজ বিক্রির দায়ে ৬-৭ ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। আমাদের এ অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।