চুয়াডাঙ্গা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্যাটেলকে এফবিআইপ্রধান হিসেবে বেছে নিলেন ট্রাম্প



print news

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক হিসেবে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) এফবিআইপ্রধান হিসেবে কাশ প্যাটেলের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।

ভারতীয় অভিবাসী পরিবারের সন্তান কাশ মূলত একজন দক্ষ আইনজীবী। সেইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথেষ্ট বিশ্বস্তও বলা চলে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উচ্চপর্যায়ের একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কাশ প্যাটেল। সেইবার তিনি জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছিলেন।

নির্বাচিত সরকারের বাইরেও কেন্দ্রীয় কিছু সংস্থা বিশেষ করে এফবিআই ও সিআইএ সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মতো কাজ করে। এটি ‘ডিপ স্টেট’ নামে পরিচিত। এসব বিষয় নিয়েই সরকারের সমালোচনা করেছেন কাশ প্যাটেল। এ বিষয়ে বইও লিখেছেন তিনি। মার্কিন সরকার নিয়ে অনেক বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে আলোচিত হন ৪৪ বছর বয়সী এ আইনবিদ।

গত সেপ্টেম্বরে শন রায়ান শো নামে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাশ প্যাটেল বলেন, এফবিআইর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা শুধু গোয়েন্দাগিরিতে ব্যস্ত থাকে। আমি এই বিষয়ে পরিবর্তন করতে চাই। আমি এফবিআইর হুভার ভবনটি বন্ধ করে দেব এবং পরের দিন এটিকে জাদুঘর হিসেবে নতুন করে উদ্বোধন করব।

তিনি আরও বলেছিলেন, হুভার ভবনের ৭ হাজার কর্মীকে বের করে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েন করবো। তাদের পুলিশের মতো করে অপরাধীদের ধরতে বলবো।

এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প তার সাবেক উপদেষ্টা এবং পেন্টাগন কর্মকর্তা কাশ প্যাটেলের নাম ঘোষণা করে লিখেন, ‘কাশ একজন দক্ষ আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা। তিনি দুর্নীতির তথ্য তুলে আনা, ন্যায়বিচার রক্ষা, আমেরিকার জনগণকে রক্ষা করতে কাজ করেছেন।

ট্রাম্প আরও লিখেন, তার প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসামান্য কাজ করেছেন। আমেরিকায় মহামারির মতো বাড়তে থাকা অপরাধ দমনে, অভিবাসী অপরাধী চক্রকে গুঁড়িয়ে দিতে এবং সীমান্তের ওপারে মানব ও মাদক পাচার বন্ধ করতে কাজ করবেন তিনি।

বর্তমানে এফবিআইয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্টোফার রে। ২০১৭ সালে ১০ বছরের জন্য সংস্থাটির পরিচালক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তার অধীনে এফবিআই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এখন নতুন পরিচালকের নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।



সুত্র লিংক

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্যাটেলকে এফবিআইপ্রধান হিসেবে বেছে নিলেন ট্রাম্প

আপডেটঃ ০৮:২৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪



print news

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেলকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক হিসেবে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) এফবিআইপ্রধান হিসেবে কাশ প্যাটেলের নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।

ভারতীয় অভিবাসী পরিবারের সন্তান কাশ মূলত একজন দক্ষ আইনজীবী। সেইসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথেষ্ট বিশ্বস্তও বলা চলে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উচ্চপর্যায়ের একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন কাশ প্যাটেল। সেইবার তিনি জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছিলেন।

নির্বাচিত সরকারের বাইরেও কেন্দ্রীয় কিছু সংস্থা বিশেষ করে এফবিআই ও সিআইএ সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মতো কাজ করে। এটি ‘ডিপ স্টেট’ নামে পরিচিত। এসব বিষয় নিয়েই সরকারের সমালোচনা করেছেন কাশ প্যাটেল। এ বিষয়ে বইও লিখেছেন তিনি। মার্কিন সরকার নিয়ে অনেক বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে আলোচিত হন ৪৪ বছর বয়সী এ আইনবিদ।

গত সেপ্টেম্বরে শন রায়ান শো নামে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাশ প্যাটেল বলেন, এফবিআইর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা শুধু গোয়েন্দাগিরিতে ব্যস্ত থাকে। আমি এই বিষয়ে পরিবর্তন করতে চাই। আমি এফবিআইর হুভার ভবনটি বন্ধ করে দেব এবং পরের দিন এটিকে জাদুঘর হিসেবে নতুন করে উদ্বোধন করব।

তিনি আরও বলেছিলেন, হুভার ভবনের ৭ হাজার কর্মীকে বের করে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মোতায়েন করবো। তাদের পুলিশের মতো করে অপরাধীদের ধরতে বলবো।

এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প তার সাবেক উপদেষ্টা এবং পেন্টাগন কর্মকর্তা কাশ প্যাটেলের নাম ঘোষণা করে লিখেন, ‘কাশ একজন দক্ষ আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা। তিনি দুর্নীতির তথ্য তুলে আনা, ন্যায়বিচার রক্ষা, আমেরিকার জনগণকে রক্ষা করতে কাজ করেছেন।

ট্রাম্প আরও লিখেন, তার প্রথম মেয়াদের সময় কাশ অসামান্য কাজ করেছেন। আমেরিকায় মহামারির মতো বাড়তে থাকা অপরাধ দমনে, অভিবাসী অপরাধী চক্রকে গুঁড়িয়ে দিতে এবং সীমান্তের ওপারে মানব ও মাদক পাচার বন্ধ করতে কাজ করবেন তিনি।

বর্তমানে এফবিআইয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্টোফার রে। ২০১৭ সালে ১০ বছরের জন্য সংস্থাটির পরিচালক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তার অধীনে এফবিআই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। এখন নতুন পরিচালকের নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।



সুত্র লিংক