বাংলাদেশ সবসময় রোহিঙ্গা সমস্যায় উদারতা দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত বিফ্রিংয়ে এ মন্তব্য করেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এসময়, যেকোনো মূল্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহাল রাখা জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত বিফ্রিংয়ে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এসময় মিয়ানমারের রাখাইন প্রসঙ্গ ও রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, জবাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানান মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, সংঘাত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সমস্যা সবসময় ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে। বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ সবসময় বিষয়টিতে উদারতা দেখিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ সবসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদারতা দেখিয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য অরক্ষিত সম্প্রদায়কে সমর্থনে সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করব।’ সরকার পতনের পর বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতারের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় ব্রিফিংয়ে। বিষয়টি আইনের শাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামলানোর আহ্বান জানিয়ে মিলার বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বহাল রাখাটা জরুরি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করেছি। এমনকি আগের সরকারকেও স্পষ্ট করে জানিয়েছিলাম যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে।’ এদিকে, শিগগিরই বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান ম্যাথিউ মিলার।