ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রিতু বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাষণ্ড স্বামীর নাম মো. রাসেল মুন্সী (৩৫)। সে পৌর এলাকার ইছাপাশা গ্রামের মৃত. মহিউদ্দিন মুন্সির ছেলে। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন ওই গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রাসেলসহ তার পরিবারের আরও দুই সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে রাসেল মুন্সীর সঙ্গে রিতু বেগমের বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত সংসারে সাড়ে তিন বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্বামী রাসেল মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ রিতু বেগমকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। বিগত ১ সেপ্টেম্বর পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে রিতু বেগমকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী রাসেল মুন্সী। পরবর্তীতে গত ২৪ নভেম্বর এক শালিস বৈঠকের মাধ্যমে আর নির্যাতন করবে না মর্মে অঙ্গিকার করে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায় সে। সবশেষ গত সোমবার রাতে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্ত্রীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্ত্রীর শারিরীক অবস্থা বেগতিক দেখে রাসেল মুন্সী নিজেই রিতু বেগমকে হাসপালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল মুন্সীর বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বার্তাবাজার/এসএইচ