চুয়াডাঙ্গা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোমাঞ্চকর সিরিজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ

ম্যাচের লাগাম ছিল আইরিশদের হাতে। জয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ওই জয় ছিনিয়ে এনেছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেমসফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

 

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভাঙে আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে শেষ ওভারে অসাধারণ এক জয় তুলে নেন টাইগাররা। রোববার শেষ ম্যাচেও বুক কাঁপিয়ে জিতল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

 

২৭৪ রানের পুঁজি নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং শুরু করে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে থাকে। প্রথম ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি আইরিশ ব্যাটাররা। লেগ বাই থেকে এসেছে শুধু একটি চার। তবে শুরু থেকে আঁটসাঁট বোল করা মুস্তাফিজ- সাফল্য পেলেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে।

 

তার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে  অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ডোহেনি। ১৬ বলে করেন ৪ রান আয়ারল্যান্ডের ওপেনার। ফলে ১৭ রানে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি।

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পল স্টার্লিং। টাইগার বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন স্টার্লিং। স্টার্লিংয়ের পর ৭১ বলে ফিফটি পূরণ করেন বালবির্নি।

 

তবে বালবির্নি অর্ধশতক করে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেনি উইকেটে। দলীয় ১২৬ রানে ইবাদতের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই আইরিশ অধিনায়ক। ৭৮ বলে করেন ৫৩ রান। এরপর উইকেটে বেশিক্ষন থাকতে পারেনি বালবির্নিকে সঙ্গ দেওয়া স্টার্লিংও। তৃতীয় জুটিতে ২০ রান তুলতেই-দলীয় ১৪৬ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ৭৩ বলে করেন ৬০ রান।

এরপর উইকেটে এসে কোনও আইরিশ ব্যাটার ভীত গড়তে পারেননি। ৩ উইকেটে ১৪৬ রান করা ইনিংস- ২৪২ রান করতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ফলে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বালবার্নির দল। আর শেষ ওভারে আইরিশদের যখন লাগে ১০ রান, তখন হাসান মাহমুদের দূর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। এতেই ২-০ জয়ে  সিরিজট নিজেদের করে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

রোমাঞ্চকর সিরিজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০৭:৪৫:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

ম্যাচের লাগাম ছিল আইরিশদের হাতে। জয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ওই জয় ছিনিয়ে এনেছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেমসফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

 

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভাঙে আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে শেষ ওভারে অসাধারণ এক জয় তুলে নেন টাইগাররা। রোববার শেষ ম্যাচেও বুক কাঁপিয়ে জিতল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

 

২৭৪ রানের পুঁজি নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং শুরু করে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিতে থাকে। প্রথম ৫ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি আইরিশ ব্যাটাররা। লেগ বাই থেকে এসেছে শুধু একটি চার। তবে শুরু থেকে আঁটসাঁট বোল করা মুস্তাফিজ- সাফল্য পেলেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে।

 

তার করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে  অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ডোহেনি। ১৬ বলে করেন ৪ রান আয়ারল্যান্ডের ওপেনার। ফলে ১৭ রানে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি।

এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তাকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পল স্টার্লিং। টাইগার বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন স্টার্লিং। স্টার্লিংয়ের পর ৭১ বলে ফিফটি পূরণ করেন বালবির্নি।

 

তবে বালবির্নি অর্ধশতক করে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেনি উইকেটে। দলীয় ১২৬ রানে ইবাদতের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই আইরিশ অধিনায়ক। ৭৮ বলে করেন ৫৩ রান। এরপর উইকেটে বেশিক্ষন থাকতে পারেনি বালবির্নিকে সঙ্গ দেওয়া স্টার্লিংও। তৃতীয় জুটিতে ২০ রান তুলতেই-দলীয় ১৪৬ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। ৭৩ বলে করেন ৬০ রান।

এরপর উইকেটে এসে কোনও আইরিশ ব্যাটার ভীত গড়তে পারেননি। ৩ উইকেটে ১৪৬ রান করা ইনিংস- ২৪২ রান করতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ফলে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে যায় বালবার্নির দল। আর শেষ ওভারে আইরিশদের যখন লাগে ১০ রান, তখন হাসান মাহমুদের দূর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। এতেই ২-০ জয়ে  সিরিজট নিজেদের করে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন