চুয়াডাঙ্গা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা আলমডাঙ্গায় কম্বল চুরি,মাদক ব্যবসার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আটক দর্শনায় দু মহিলাকে কুপিয়ে জখম,যুবক আটক রুট পরিবর্তন হচ্ছে না বেনাপোল-সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চুয়াডাঙ্গায় রুট পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ চুয়াডাঙ্গার সড়কে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে নারী নিহত ঝিনাইদহে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একসঙ্গে দুই তরুণীর অনশন দামুড়হুদায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ দর্শনায় বি এন পি নেতাকে কুপালো যুবলীগ কর্মী জীবননগর থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী গ্রেফতার

রাস্তায় বেড়া দিয়ে গাছ রোপন গাংনীর সহড়াতলায় ৩০ পরিবার জিম্মি

রাস্তায় বেড়া দিয়ে গাছ রোপন করায় অন্তত ৩০টি পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে ও মাঠের ফসল আনা নেওয়ার করতে পারছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গং স¤প্রতি রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার শহড়াতলা গ্রামে।

 

 

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া সিরাজুল ইসলামের দাবি, তিনি দলিল মূলে ওই সম্পত্তির মালিক। অন্যদিকে নজিবুর রহমান গং বলছেন জমিটি তাদের। আদালত নজিবুর রহমান গংদের পক্ষে রায় দিলেও পেশি শক্তির বলে সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন রাস্তাটি বন্ধ করে গাছ রোপণ করেছে।
গ্রামের নজিবুর রহমান গং জানান, ব্রিটিশ শাসনামলে ১৪৬ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন সুরত আলী।

 

 

১৯৬২ সালে আয়নাল হকের নামের একজনের নামে ওই জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করা হয় তৎকালীন গাংনী আদালতে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আয়নাল হকের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে মেহেরপুর জজ করতে আপিল করেন সুরত আলী গং। ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞ আদালত সুরত আলির পক্ষে রায় দেন। উত্তরাধিকার সুত্রে জমির মালিক হন নজিবুর রহমান ও তার লোকজন। এদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আয়নাল হক গং। বর্তমানে আদালতে মামলাটি চলমান। তবুও নানাভাবে প্রতিপক্ষ আয়নাল হক গংয়ের লোকজন সুরত আলী পক্ষের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

 

 

অন্যদিকে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নজিবুর রহমানের সাথে দ্বন্দের জের ধরে তারই ভাই সিরাজুল ইসলাম আয়নাল হক গংয়ের কাছ থেকে ওই বিরোধপূর্ণ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার পর থেকে সিরাজুল ইসলাম গং নীরব থাকলেও হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে নজিবুর রহমান গ্রæপের লোকজনের চলাচলের পথে বেড়া দিয়ে মেহগনি গাছ রোপন করেন। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই পথে চলাচল কারী ও অন্তত ৩০টি পরিবার।

 

স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে মামলা চলমান অথচ ৩০টি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়াটা উচিত নয়। এতে করে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। মাঠের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারছেন না। শতবর্ষের পুরাতন এই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকজনও ওই পথ দিয়ে মাঠে চলাচল করতে পারছেন না।

 

এদিকে সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি ক্রয় সুত্রে জমির মালিক। জমির আদালতের রায় দিলেও আমরা দখল নেয়া হয়নি। স¤প্রতি নজিবুর গ্রæপের লোকজন জমির প্রকৃত মালিকের নামে মামলা না করে তার নামে মামলা করায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গাছ রোপন করা হয়েছে। নজিবুর গ্রুপের লোকজন অনুরোধ করলে রাস্তাটি খুলে দেয়া হবে বলেও জানালেন তিনি।

 

স্থানীয় লোকজন জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে এখন পারিবারিক দ্ব›েদ্ব রূপ নিয়েছে এর সমাধান একমাত্র তারাই করতে পারে। স্থানীয়রা আরো জানান, এ জমি নিয়ে গ্রাম ও শহর সবখানেই আলোচনা ও উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু উভয়পক্ষ সালিশ মানতে নারাজ। উভয় পক্ষই জমির মালিক নিজে বলে দাবি করায় এবং ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা না থাকায় সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গ্রামের লোকজন ও অন্যান্যরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

প্রসঙ্গঃ

চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল শিশুখাদ্য উদ্ধার : গোডাউন সিলগালা ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

রাস্তায় বেড়া দিয়ে গাছ রোপন গাংনীর সহড়াতলায় ৩০ পরিবার জিম্মি

প্রকাশ : ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

রাস্তায় বেড়া দিয়ে গাছ রোপন করায় অন্তত ৩০টি পরিবার জিম্মি হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে ও মাঠের ফসল আনা নেওয়ার করতে পারছেন না ভুক্তভোগী পরিবার। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গং স¤প্রতি রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার শহড়াতলা গ্রামে।

 

 

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া সিরাজুল ইসলামের দাবি, তিনি দলিল মূলে ওই সম্পত্তির মালিক। অন্যদিকে নজিবুর রহমান গং বলছেন জমিটি তাদের। আদালত নজিবুর রহমান গংদের পক্ষে রায় দিলেও পেশি শক্তির বলে সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন রাস্তাটি বন্ধ করে গাছ রোপণ করেছে।
গ্রামের নজিবুর রহমান গং জানান, ব্রিটিশ শাসনামলে ১৪৬ শতক জমি বন্দোবস্ত নেন সুরত আলী।

 

 

১৯৬২ সালে আয়নাল হকের নামের একজনের নামে ওই জমি রেকর্ডভুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করা হয় তৎকালীন গাংনী আদালতে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আয়নাল হকের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে মেহেরপুর জজ করতে আপিল করেন সুরত আলী গং। ১৯৯৩ সালে বিজ্ঞ আদালত সুরত আলির পক্ষে রায় দেন। উত্তরাধিকার সুত্রে জমির মালিক হন নজিবুর রহমান ও তার লোকজন। এদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আয়নাল হক গং। বর্তমানে আদালতে মামলাটি চলমান। তবুও নানাভাবে প্রতিপক্ষ আয়নাল হক গংয়ের লোকজন সুরত আলী পক্ষের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।

 

 

অন্যদিকে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নজিবুর রহমানের সাথে দ্বন্দের জের ধরে তারই ভাই সিরাজুল ইসলাম আয়নাল হক গংয়ের কাছ থেকে ওই বিরোধপূর্ণ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার পর থেকে সিরাজুল ইসলাম গং নীরব থাকলেও হঠাৎ করে কয়েকদিন আগে নজিবুর রহমান গ্রæপের লোকজনের চলাচলের পথে বেড়া দিয়ে মেহগনি গাছ রোপন করেন। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই পথে চলাচল কারী ও অন্তত ৩০টি পরিবার।

 

স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে মামলা চলমান অথচ ৩০টি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়াটা উচিত নয়। এতে করে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। মাঠের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারছেন না। শতবর্ষের পুরাতন এই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকজনও ওই পথ দিয়ে মাঠে চলাচল করতে পারছেন না।

 

এদিকে সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি ক্রয় সুত্রে জমির মালিক। জমির আদালতের রায় দিলেও আমরা দখল নেয়া হয়নি। স¤প্রতি নজিবুর গ্রæপের লোকজন জমির প্রকৃত মালিকের নামে মামলা না করে তার নামে মামলা করায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গাছ রোপন করা হয়েছে। নজিবুর গ্রুপের লোকজন অনুরোধ করলে রাস্তাটি খুলে দেয়া হবে বলেও জানালেন তিনি।

 

স্থানীয় লোকজন জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে এখন পারিবারিক দ্ব›েদ্ব রূপ নিয়েছে এর সমাধান একমাত্র তারাই করতে পারে। স্থানীয়রা আরো জানান, এ জমি নিয়ে গ্রাম ও শহর সবখানেই আলোচনা ও উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু উভয়পক্ষ সালিশ মানতে নারাজ। উভয় পক্ষই জমির মালিক নিজে বলে দাবি করায় এবং ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা না থাকায় সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে গ্রামের লোকজন ও অন্যান্যরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।