দশম শ্রেণির ছাত্রী সুমনা আক্তার (১৬)। হঠাৎ করে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার দাবি সুমনা ও স্বজনদের। এমনি এক অদ্ভুত খবর এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা গ্রামে।
এই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও লাভলী বেগম দম্পতির সন্তান সুমনা (ছদ্ম নাম-সুমন)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ ব্যাপারটি কয়েকদিন গোপন থাকলে সেটি আজ শনিবার (২৭ মে) জানাজানি হয়। এরপর এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছে।
এ ঘটনার শিকার সুমনা আক্তার বলেন, ২২ মে রাতে হঠাৎ করে আমার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখায়। এক কথায় আমি পুরুষ হয়েছি। এরপর ব্যাপারটি আমার দাদি দৌলতুন্নেছাকে খুলে বলি।
বৃদ্ধা দৌলতুন্নেছা বেওয়া বলেন, সুমনা আক্তার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। কয়েকদিন আগে সুমনা আমাকে জানায়, সে ছেলেতে পরিণত হয়েছে। এরপর আমি প্রাথমিকভাবে দেখি যে, সত্যি সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি একটি অবাক করা কাণ্ড।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে আজ দুপুরে সুমনার বাড়িতে যাওয়া হয়। পরিবারের স্বজনদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন।