শনিবার অতি তীব্র ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী তাপদাহের দিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা হিটস্ট্রোকে এক যুবক ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে অতি তীব্র তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারাগেছে।
নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী।
অতি তীব্র তাপদাহে এক দিনে ৭ ঘন্টার ব্যবধানে জেলার দামুড়হুদা উপজেলা ২ জনের মৃত্যু হলো।
এর আগে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সে সকাল ৮ টার দিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারাযায়।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। এবং বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা চিল ১৮ শতাংশ। বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। বিকেল ৬ টায় তাপমাত্রা পারদ আরো বৃদ্ধি দাড়ায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামু জানান, বেলা ৩ টার দিকে অতিরিক্ত তাপে আমার মা (মর্জিনা খাতুন) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় আমরা মাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অটো ভ্যানে উঠানোর সাথে সাথে মা মারা যায়।
তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, মাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও টুকুও পেলাম না।
গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা জানান, হটাৎ অসুস্থ হয়ে উপজেলা সদরের মর্জিনা খাতুন ও সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারাগেছে শুনেছি। তবে তিনারা হিটস্ট্রোকে মারাগেছে কিনা সেটা ডাক্তার ছাড়া বলা সম্ভব না। # #