প্রকাশ :
০৬:১৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
12
১৬ মাসের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বনি সদর। দায়িত্ব ছাড়ার পর ফ্রান্সে পালিয়ে যান তিনি, এবং সেখানেই কাটে তাঁর বাকি জীবন।
টিবিএস ডেস্ক
09 October, 2021, 05:15 pm
Last modified: 09 October, 2021, 06:49 pm
ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনি সদর; ছবি : সংগৃহীত
“>
ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনি সদর; ছবি : সংগৃহীত
ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনি সদর আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের পিতি সালপেট্রিয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বনি সদরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা।
ইসলামি বিপ্লবের পর ১৯৮০ সালে চার বছর মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বনি সদর। এর আগে বিপ্লব-পরবর্তী ইরানের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বনি সদরের মেয়াদ খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনিসহ ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধে জড়াতে থাকেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮১ সালের জুনে ইরানের সংসদ তাঁকে অভিশংসন করে।
সব মিলিয়ে ১৬ মাসের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বনি সদর। দায়িত্ব ছাড়ার পর ফ্রান্সে পালিয়ে যান তিনি, এবং সেখানেই কাটে তাঁর বাকি জীবন।
তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মৃত্যুর সংবাদ জানাতে গিয়ে বনিসদরের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তিনি ধর্মের নামে নতুন স্বৈরশাসন ও অত্যাচারের হাত থেকে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন।’
প্যারিসের উপশহর ভার্সেইয়ে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন বনিসদর। তাঁর পরিবারের সেখানেই তাঁকে দাফন করার ইচ্ছা বলে রয়টার্সকে ফোনে জানিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকারী পাকনেজাদ জামালউদ্দিন।
২০১৯ সালে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জানান, ১৯৭৯ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন, যা তখন তাঁর সঙ্গে তেহরানে ফেরা অনেকের মনেই ‘তিক্ত অনুভূতি’-র জন্ম দেয়।
এছাড়া আরেক সাক্ষাৎকারে খোমেনির কর্মকাণ্ডকে বনিসদর এভাবে ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি ছিলাম অনেকটা সেই বাচ্চার মতো যে ক্রমশ তার বাবাকে দেখেছে একজন মদ্যপ ব্যক্তিতে পরিণত হতে। তবে এবার নেশাদ্রব্যটি ছিল ক্ষমতা।’