মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এতে আবারও মর্টার শেল, বোমা, গ্রেনেড ও গুলির শব্দ শুনতেথপাচ্ছেন টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি সরাসরি এসে পড়ছে টেকনাফে। এতে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ায় আব্দুর রহিমের বাড়ির আঙিনায় একটি গুলি এসে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়রা জানান, মংডু শহরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলি তীব্র হয়ে উঠেছে। দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার শেল ছুড়ছে।
হ্নীলা ইউনিয়নের মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানান, শুক্রবার রাতে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মনির আহমেদ লেন, ভারী গোলার শব্দও শোনা যাচ্ছে সীমান্তে। এসব কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্তে অযথা না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া সাবরাং ইউনিয়নের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ জানান, শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা এখন আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগে যাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ না করে, সেজন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি