দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় বজ্রপাতে ধান পুড়ে ছাই হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা ক্ষতিগ্রস্থ দুজন কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সিএ ফয়জুল করিম, নাজির শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, দৈনিক মাথাভাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের ধানপুড়ে যাওয়ার সংবাদটি দেখে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নিয়ে আমার দফতরে আসতে বলি। রোববার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আমার দফতরে আসলে তাদের কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে সরকারি প্রনোদনা দিয়ে আবারও সহযোগিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬এপ্রিল সন্ধায় দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা-বয়রা গ্রামের মাঠে বজ্রপাতে কৃষক মোঃ ফারুকের ১বিঘা ও মো: আক্তারুলের ১৬কাঠা জমিতে কেটে রাখা স্তুপকৃত ধান বজ্রপাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় । বিষয়টি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দৃষ্টিগোচর হয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের।
তিনি কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ডেকে পাঠান এবং তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। একের পর এক মানবিক কার্যক্রমে বেশ প্রসংশায় ভাসছে সদ্য যোগদানকৃত ইউএনও রোকসানা মিতা। স্থানীয়রা অনেকে তার সাথে সরাসরি কথা বলে নিজেদের দুঃখ, দূর্দশার কথা বলতে পেরে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। স্থানীয়রা আরও বলেছেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে এক সময় এই উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন সাবেক (ইউএনও) দিলারা রহমান। ঠিক তারই মতো আরও এক মানবিক কর্মচঞ্চল ইউএনও পেয়েছি আমরা।