চুয়াডাঙ্গা ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপার ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যায় চাচাকে ফাঁসির দণ্ড

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ দেন।

 

একইসঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ৩রা জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের কবিরপুর নতুন ব্রিজপাড়া আগুনে পুড়িয়ে ভাতিজা সাফিন ওরফে শিবলু (৯), আমিন (৭) ও ভাগ্নে মাহিন (১২)কে পুড়িয়ে হত্যা করে ইকবাল হোসেন।

 

মামলা সুত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও জমিজমা নিয়ে ভাই দেলোয়ার ও পিতা গোলাম নবীর সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাদকাসক্ত ইকবাল হোসেনের। এ ঘটনায় প্রথমে তার বোন জেসমিন, ভাগ্নে মাহিন ও ভাইয়ের দুই সন্তান সাফিন ও ছোট ভাই আমিনকে হাতুড়ি পেটা করে খাটের সাথে বেধে ফেলে। এরপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুই সন্তান সাফিন ও আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বোন জেসমিন ও ভাগ্নে মাহিন।

 

 

অগ্নিদগ্ধ মাহিন ঘটনার দিন রাত ৯টায় হাসপাতালে মারা যান। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর ইকবালকে গনপিটুনি দিয়ে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে গ্রামবাসি। একই পরিবারের তিন শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শৈলকুপার কবিরপুর গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৭ ফেব্রয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার একমাত্র আসামি ইকবালকে মৃত্যুদন্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ঘটনার দিন পুলিশ তাকে আটক করলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে খুনি ইকবার হোসেন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

শৈলকুপার ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যায় চাচাকে ফাঁসির দণ্ড

প্রকাশ : ০৭:৫৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর ৩ শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ দেন।

 

একইসঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ৩রা জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের কবিরপুর নতুন ব্রিজপাড়া আগুনে পুড়িয়ে ভাতিজা সাফিন ওরফে শিবলু (৯), আমিন (৭) ও ভাগ্নে মাহিন (১২)কে পুড়িয়ে হত্যা করে ইকবাল হোসেন।

 

মামলা সুত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও জমিজমা নিয়ে ভাই দেলোয়ার ও পিতা গোলাম নবীর সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মাদকাসক্ত ইকবাল হোসেনের। এ ঘটনায় প্রথমে তার বোন জেসমিন, ভাগ্নে মাহিন ও ভাইয়ের দুই সন্তান সাফিন ও ছোট ভাই আমিনকে হাতুড়ি পেটা করে খাটের সাথে বেধে ফেলে। এরপর দাহ্য জাতীয় পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের দুই সন্তান সাফিন ও আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বোন জেসমিন ও ভাগ্নে মাহিন।

 

 

অগ্নিদগ্ধ মাহিন ঘটনার দিন রাত ৯টায় হাসপাতালে মারা যান। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পর ইকবালকে গনপিটুনি দিয়ে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে গ্রামবাসি। একই পরিবারের তিন শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় শৈলকুপার কবিরপুর গ্রাম শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

 

তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৭ ফেব্রয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার বিজ্ঞ আদালত ওই মামলার একমাত্র আসামি ইকবালকে মৃত্যুদন্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। ঘটনার দিন পুলিশ তাকে আটক করলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে খুনি ইকবার হোসেন বিদেশে পালিয়ে গেছেন।