চিকিৎসকদের চলমান কর্মবিরতি সাতদিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। খুলনা সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক চিকিৎসকদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বিএমএ খুলনা নেতৃবৃন্দের দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংএ বেলা বারোটার দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে সিটি মেয়র ছাড়াও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমান এবং চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংএ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা চিকিৎসকদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছি। চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় দোষী শাস্তি পাবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন হয়রানির মামলারও তদন্ত হবে।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আমাদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা ও ঘটনাসমূহের উপযুক্ত বিচারের আশ্বাসে আমাদের চলমান কর্মবিরতি সাত দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করছি। তবে আজ সন্ধ্যা সাতটায় বিএমএ খুলনার বিশেষ জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিতভাবে ব্রিফ করব।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. নিশাত আব্দুল্লাহকে এক রোগীর পিতা, সাতক্ষীরায় দায়িত্বপালনকারী পুলিশের এএসআই নাইম ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় সঙ্গীদের নিয়ে মারধর করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক একটি মামলা করেন। এরপর ওই রোগীর মা তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে দাবি করে একটি মামলা করেন। চিকিৎসককে মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ১ মার্চ হতে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। চারদিন পরে এই অচলাবস্থার অবসান ঘটল।