৭ ওভার, মিনিটের হিসেবে ৩৯। এই সময়টুকুই লাগল অ্যান্টিগা টেস্টের পঞ্চম দিন শেষ হতে। ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ১৩২ রানেই থেমে গেল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সবাইকে চমকে দিয়ে ৯ উইকেটেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও অলআউট হয়নি। ৯ উইকেট পড়া অবস্থাতেই ম্যাচ শেষ হয়েছে।
অলআউট না হয়েও টেস্ট হারার মজার এক কাণ্ড দেখিয়ে ২০১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
দিনের প্রথম উইকেট হারাতে মাত্র ১২ বল দরকার হলো বাংলাদেশের। আলজারি জোসেফের বল সিম করে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে হাসান মাহমুদের ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে চলে গেল। এই দুই ওভারে ৪ রান পেয়েছিল বাংলাদেশ।
জয়ের চিন্তা গতকালই দূর হয়েছে। উইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। তাতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান। ৩১ ওভার ব্যাটিং করে ১০৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ চিন্তা ছিল পরাজয় কতটা বিলম্বিত করা যায়। জাকের আলী সে চেষ্টা করতে চাইছিলেন। কিন্তু ইতিবাচক ঢঙে রান নিতে চাওয়া জাকের ভুলে গেলে ন যে তিনি টেস্ট খেলছেন। অতিমাত্রায় লেগ সাইড নির্ভর ব্যাটসম্যান হওয়াটা তাঁর টেস্টে ক্রিকেটে কার্যকারিতা নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন জাগাচ্ছে। আজ আউটও হলেন সে দোষে।
দিনের ষষ্ঠ ওভারে আলজারির একটি বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে একটু বেশি অফসাইডে চলে গেলেন। গ্লান্স করতে গিয়ে বল মিস করলে, লাগল প্যাডের পেছনের দিকে। স্বাভাবিক স্টান্সে ব্যাট করলে ওই জায়গায় বল লাগলে আম্পায়ার এলবিডাব্লিউর সিদ্ধান্ত দিতে হতো চাইতেন না। কিন্তু লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় জাকের এমন অবস্থানে চলে গেছেন যে, তাঁর লেগ স্টাম্প দেখা যাচ্ছিল।
রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি জাকের (৩১)। ১২৯ রানে নবম উইকেট হারানোর পরও একটু চেষ্টা করছিলেন তাসকিন ও শরীফুল। জেডন সিলসের এক বাউন্সার সেটাও শেষ করল। তাঁর বাউন্সারের হাত থেকে বাঁচতে বসে পড়েছিলেন শরিফুল। কিন্তু বল গিয়ে লাগে তাঁর ঘাড়ে। ফিজিও কোনো ঝুঁকি না নিয়ে তা৬কে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। তাতে ১৩২ রানেই থামল বাংলাদেশ।