চুয়াডাঙ্গা ১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় এক নারীর ৪ জমজ সন্তানের জন্ম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী কল্পনা খাতুন (২৬) নামে এক নারী একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার কন্যা সন্তান জন্ম দেন কল্পনা খাতুন।

একসঙ্গে চার সন্তানকে দেখে সবাই খুশি হলেও ক্লিনিকের বিল পরিশোধের চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে দিনমজুর বাবা মাহবুবুর রহমানের। তার ঘরে নাঈম নামে দশ বছরের এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।

 

মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির সঙ্গে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। যেদিন কাজ থাকে সেদিন ৪০০ টাকা পাই। আর যেদিন কাজ থাকে না সেদিন কোনো টাকা পাই না। এ অবস্থায় চার সন্তানের মুখ দেখে খুব খুশি হয়েছি কিন্তু ক্লিনিকের বিল ২০ হাজার টাকা কেমনে পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমার কাছে যা টাকা ছিল সিজার করার আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত জোগাড়ের চেষ্টা করছি।

আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে সত্ত্বাধিকারী ডা. তরিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারী চারটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারজনই সুস্থ আছে। প্রসূতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা শঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও জমজ বাচ্চা দেখেছি। একসঙ্গে তিনটা বাচ্চাই খুব কম জন্মগ্রহণ করে। এবারই প্রথম একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেখলাম।

 

Powered by WooCommerce

চুয়াডাঙ্গায় এক নারীর ৪ জমজ সন্তানের জন্ম

আপডেটঃ ০৭:৩৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার রাজমিস্ত্রী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী কল্পনা খাতুন (২৬) নামে এক নারী একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার কন্যা সন্তান জন্ম দেন কল্পনা খাতুন।

একসঙ্গে চার সন্তানকে দেখে সবাই খুশি হলেও ক্লিনিকের বিল পরিশোধের চিন্তায় কপালে ভাজ পড়েছে দিনমজুর বাবা মাহবুবুর রহমানের। তার ঘরে নাঈম নামে দশ বছরের এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।

 

মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি রাজমিস্ত্রির সঙ্গে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। যেদিন কাজ থাকে সেদিন ৪০০ টাকা পাই। আর যেদিন কাজ থাকে না সেদিন কোনো টাকা পাই না। এ অবস্থায় চার সন্তানের মুখ দেখে খুব খুশি হয়েছি কিন্তু ক্লিনিকের বিল ২০ হাজার টাকা কেমনে পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমার কাছে যা টাকা ছিল সিজার করার আগে ওষুধ ও বিভিন্ন সামগ্রী কিনতেই শেষ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। রক্ত জোগাড়ের চেষ্টা করছি।

আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতালে সত্ত্বাধিকারী ডা. তরিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক নারী চারটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। চারজনই সুস্থ আছে। প্রসূতির রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, চার কন্যাসন্তান আমার তত্ত্বাবধানে আছে। তারা কিছুটা অপুষ্ট। অক্সিজেন ছাড়াই বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তাদের মায়ের শারীরিক অবস্থা শঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও জমজ বাচ্চা দেখেছি। একসঙ্গে তিনটা বাচ্চাই খুব কম জন্মগ্রহণ করে। এবারই প্রথম একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেখলাম।