নড়াইল ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীয়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মূখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বার্তা বাজারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন এ মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা,হলেন নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চর করফা গ্রামের মো.জুন্নু মুন্সি (৪০) ও বয়রা গ্রামের মো.আজাদ শেখ (৫০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন,আসামিরা ১৬ স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার এর নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মী সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,খুনী,অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার কর্মসূচি চলাকালে নড়াইলের লোহাগড়ায় সি এন্ড বি চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা। বর্তমান নড়াইল জেলা সমন্বয়ক নেতা কাজী ইয়াজুর রহমান সহ আরও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন।
মামলায় মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা ছাড়াও সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল আমীর লিটু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়।
বার্তাবাজার/এস এইচ