বছর ব্যাপী যুদ্ধের পর মিয়ানমারের মংডু শহর পূর্ণ দখলে নিয়ে শহরটিতে কারফিউ জারি করেছে দেশটির স্বশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি। সীমান্তে যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নাফ নদী হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে নৌযান,ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
৮ ডিসেম্বর মংডু শহরের জান্তা সরকারের সর্বশেষ হান্দা পাড়া ক্যাম্পটি দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। গত কয়েকদিন ধরে শহরটিতে সংঘর্ষ বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের তথ্য মতে, চলমান যুদ্ধের কারণে মিয়ানমার মংডু শহরের বাসিন্দারা বাড়ি ঘর ছেড়ে মংডু শহরের পার্শ্ববর্তী গর্জনদিয়া, বকসু পাড়া, আশিখ্যা পাড়া, বইল্লা পাড়া, আইজ্জা পাড়া, সাইরা পাড়া, মাংঘালা, দারোগা পাড়া, কোলাবিল, বইরগ্যা বিল, আই জি পি ক্যাম্প গুলোতে বসবাস করছে। এছাড়াও মংডু শহরের ঝোলা পাড়, হাদিরবিল, সিকদার পাড়াসহ তিন মাইল জনশূন্য এসব এলাকায় আরাকান আর্মি বসবাস করছে বলে জানা যায়।
রোহিঙ্গা প্রতিরীধ কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, প্রায় এক বছর ধরে মিয়ানমারের অভ্যান্তরে আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারনে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ ২৪ ঘন্টা আতংকে দিন পার করছে। শেষ ঘাটিটি বিদ্রীহীরা দখলে নেওয়ার সংবাদের পর গত কয়েকদিন কোনো শব্দ হচ্ছে না। টেকনাফ পৌরসভা কায়ুকখালী ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনার পর থেকে সকল নৌযান নাফ নদীতে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর (ভারপ্রাপ্ত) অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ জানান, বাংলাদেশ সীমানায় নাফ নদীতে বিজিবির টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে নাফ নদী হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনগামী ও মাছ ধরার সকল ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে পুনরায় সকল নৌযান চালু করা হবে।