চুয়াডাঙ্গা ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান:জরিমানা অপারেশন থিয়েটার সীলগালা

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যোথ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানেকালে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা সহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মোবাইল কোর্টের বিচারক সজল কুমার দাস পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হেলেনা আক্তার নিপা।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ লাইসেন্স না থাকা ও ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় কার্পাসডাঙ্গা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মি.প্রসাদকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় অভিযুক্ত করে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। ল্যাব টেকনিশিয়ান ও  পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লুইচকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।  (এনেস্থিসিওলজিস্ট) ছাড়াই অপারেশন থিয়েটার চালু রাখা, সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার না থাকা ও অপারেশন থিয়েটার পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সততা নার্সিং হোমের মালিক আবুল কাশেমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন মোবাইল কোর্টের বিচারক।
এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ল্যাবে রাখা ও ল্যাবের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় নদী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জিকোকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং (এনেস্থিসিওলজিস্ট) এর অনুপস্থিতিতে অপারেশন থিয়েটার পরিচালনা ও অনুমোদিত বেডের অতিরিক্ত বেড রাখায় এপোলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাওনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন মোবাইল কোর্টের বিচারক।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল কুমার দাস ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা জানান, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত কোনো ডাক্তার নেই, নেই কোন এন্যাসথেসিয়া, নোংরা পরিবেশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকায় সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোবাইল কোর্টের সহায়তা করেন। ###

Powered by WooCommerce

দামুড়হুদার বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান:জরিমানা অপারেশন থিয়েটার সীলগালা

আপডেটঃ ১২:২২:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যোথ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানেকালে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা সহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মোবাইল কোর্টের বিচারক সজল কুমার দাস পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হেলেনা আক্তার নিপা।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ লাইসেন্স না থাকা ও ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় কার্পাসডাঙ্গা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মি.প্রসাদকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় অভিযুক্ত করে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। ল্যাব টেকনিশিয়ান ও  পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লুইচকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।  (এনেস্থিসিওলজিস্ট) ছাড়াই অপারেশন থিয়েটার চালু রাখা, সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার না থাকা ও অপারেশন থিয়েটার পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সততা নার্সিং হোমের মালিক আবুল কাশেমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন মোবাইল কোর্টের বিচারক।
এছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ল্যাবে রাখা ও ল্যাবের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় নদী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জিকোকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং (এনেস্থিসিওলজিস্ট) এর অনুপস্থিতিতে অপারেশন থিয়েটার পরিচালনা ও অনুমোদিত বেডের অতিরিক্ত বেড রাখায় এপোলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাওনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন মোবাইল কোর্টের বিচারক।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল কুমার দাস ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা জানান, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত কোনো ডাক্তার নেই, নেই কোন এন্যাসথেসিয়া, নোংরা পরিবেশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকায় সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোবাইল কোর্টের সহায়তা করেন। ###