চুয়াডাঙ্গা ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পৃথক স্থানে গুলিবিদ্ধদের পাশে দাড়িয়েছে জেলা জামায়েত ইসলামী 

ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী মোফাইল ও আহত দবির উদ্দিনের পাশে দাড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েত ইসলামী।

 

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক ভাবে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুরের মোফাইল ও দশমী গ্রামের দবিরের বাড়িতে গিয়ে তাদের শারীরিক খোঁজ খবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।

 

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের দিনমজুর  হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল ঢাকায় প্রদীপ ফ্যান কোম্পানিতে কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিল। গত ১৯শে জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ি নামক স্থানে সহকর্মীদের সাথে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হন। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল বের হলে পুলিশ মিছিল টিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। ওই সময় গুলিতে  মোফাইলের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরে তার বন্ধুরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সালমান হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসার অবনতি হলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রের্ফাড করেন।

 

দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন ঢাকা পঙ্গু  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসার খরচের টাকা যোগান দিতে না পারায় পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ দেখে দৃষ্টি পড়ে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল সহ সর্বমহলের । এদিকে, ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনে ৫আগস্ট স্বৈরাচারী, খুনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আনন্দ মিছিল বের হলে দামুড়হুদা দশমী গ্রামের দবির উদ্দিন(৩৫) মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহত দবির উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার হাজী নূর মোহাম্মদ এর ছেলে ও ঢাকা উত্তরার একটি গার্মেন্টস কর্মী।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মো: রুহুল আমিন, নায়েবে আমির মাওঃ মো: আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা আমির মো: নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমির মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারী মাও মো: আব্দুল গফুর, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম জিয়া, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: আবেদ উদ দৌলা, দামুড়হুদা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: আবুল বাশার, হাউলী ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: ওবায়দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: আব্দুর রশিদ, নাটুদা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির, মাওঃ ফজলুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিবিরের সভাপতি মহশিন আলী তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ায়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের উদ্দেশ্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দুহাত তুলে দোয়া করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাময়েত ইসলামীর নায়েবে আমির  মাওঃ মো: আজিজুর রহমান।

Powered by WooCommerce

ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পৃথক স্থানে গুলিবিদ্ধদের পাশে দাড়িয়েছে জেলা জামায়েত ইসলামী 

আপডেটঃ ০৫:২৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী মোফাইল ও আহত দবির উদ্দিনের পাশে দাড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েত ইসলামী।

 

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পৃথক ভাবে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুরের মোফাইল ও দশমী গ্রামের দবিরের বাড়িতে গিয়ে তাদের শারীরিক খোঁজ খবর নিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।

 

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের দিনমজুর  হাফিজুর রহমানের ছেলে মোফাইল ঢাকায় প্রদীপ ফ্যান কোম্পানিতে কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিল। গত ১৯শে জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ি নামক স্থানে সহকর্মীদের সাথে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হন। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল বের হলে পুলিশ মিছিল টিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। ওই সময় গুলিতে  মোফাইলের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরে তার বন্ধুরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সালমান হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার চিকিৎসার অবনতি হলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রের্ফাড করেন।

 

দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন ঢাকা পঙ্গু  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসার খরচের টাকা যোগান দিতে না পারায় পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ দেখে দৃষ্টি পড়ে প্রশাসন, রাজনৈতিক দল সহ সর্বমহলের । এদিকে, ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনে ৫আগস্ট স্বৈরাচারী, খুনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আনন্দ মিছিল বের হলে দামুড়হুদা দশমী গ্রামের দবির উদ্দিন(৩৫) মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহত দবির উদ্দিন দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার হাজী নূর মোহাম্মদ এর ছেলে ও ঢাকা উত্তরার একটি গার্মেন্টস কর্মী।

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়েত ইসলামীর আমির মো: রুহুল আমিন, নায়েবে আমির মাওঃ মো: আজিজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারী এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা আমির মো: নায়েব আলী, উপজেলা নায়েবে আমির মো: নজরুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারী মাও মো: আব্দুল গফুর, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: রফিকুল ইসলাম জিয়া, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মো: আবেদ উদ দৌলা, দামুড়হুদা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: আবুল বাশার, হাউলী ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: ওবায়দুর রহমান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির মো: আব্দুর রশিদ, নাটুদা ইউনিয়ন জামায়েত ইসলামীর আমির, মাওঃ ফজলুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিবিরের সভাপতি মহশিন আলী তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ায়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের সকল শহীদ ও আহতদের উদ্দেশ্যে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দুহাত তুলে দোয়া করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাময়েত ইসলামীর নায়েবে আমির  মাওঃ মো: আজিজুর রহমান।