ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ওই প্রদেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ ও আলু রফতানির বিরোধিতা করে আসছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে আজ রবিবার সকাল থেকে এই দুটি পণ্যের স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এতে করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজও আলু আমদানি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে ব্যাবসায়ীদের মাঝে। তবে বন্দর দিয়ে পুর্বের স্লট বুকিং থাকা পেঁয়াজ ও আলু আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে স্লট বুকিং বন্ধের খবরে বন্দরে পাইকারী পর্যায়ে কেজিতে ১০ টাকা করে পণ্য দুটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান , দেশের বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আজ রোববার সকালে ভারতের রাজ্য সরকার আলু ও পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয়। আগে যেসব স্লট বুকিং নেওয়া ছিল শুধুমাত্র ওই সমস্ত ট্রাকগুলি দেশে প্রবেশ করছে। যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার পণ্য দুটি রফতানি বন্ধ করে দেয় সেক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। কারন অনেক ট্রাক লোডিং অবস্থায় সড়কে দাড়িয়ে আছে। এগুলো ঢুকতে না পারলে পচে নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এই পণ্য দুটি বাংলাদেশে আমদানি না হলে দাম বাড়ার আশংকা রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, পূর্বের তুলানায় আলু ও পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রোববার ভারতরে পশ্চিম বঙ্গে পণ্য দুটির সংকটের অজুহাতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয়। ফলে পূর্বে বুুকিং দেয়া আলু ও পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ করেছে। নতুন করে স্লট বুকিং না দেয়ায় আমদানি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু এটি কেন্দ্র সরকারের সীদ্ধান্ত নয়। তাই এলসিকৃত পন্য দেশের অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করতে হবে। এতে পরিবহন খরচ দ্বিগুন হবে। এতে পণ্য দুটির দামও বেড়ে উঠবে।