চুয়াডাঙ্গা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি মাহে আলমের,পরিবারের দাবী

মোংলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চিংড়ি বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি মাহে আলমকে অপহরণের পর খুন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার দাবী তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ছোট ছেলে সুমন রানাসহ পরিবারের সদস্যরা।

 

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমন রানা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০এপ্রিল সকালে মামার ঘাটে ঘুরাঘুরি করা অবস্থায় স্থানীয় মোশারেফ হোসেন নামের এক বোট মাঝি তার পিতার হাত ধরে বানীশান্তা ঘাটের দিকে নিয়ে যান। এরপর মাহে আলমকে বানীশান্তা ঘাট থেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যায় মোশারেফ মাঝিসহ অজ্ঞাতরা। যা মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে পাওয়া গেছে।

 

মাহে আলমকে অপহরণ করার ঘটনার তিন দিন পর ১৩এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল এলাকা থেকে একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনার দাকোপ থানা পুলিশ। ওই লাশের পরনে থাকা শার্ট-প্যান্ট মাহে আলমের বলে সনাক্ত ও দাবী করেন তার পরিবার। কিন্তু এর আগে ৭এপ্রিল বনবিভাগের অভিযানকালে মারধরে নদীতে পড়ে নিখোঁজ থাকা মোংলার চিলা এলাকার জেলে হিলটন নাথের পরনে ছিলো লুঙ্গি ও গেঞ্জি।

 

রহস্যজনক কারণে মাহে আলমের লাশ হিলটনের বলেই হিলটন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দাকোপ থানা পুলিশ বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়। ওই লাশটি মাহে আলমের বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই লাশটি মাহে আলমের দাবী করে মোংলা ও দাকোপ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে এ ঘটনায় মোংলায় থানায় জিডি করেছেন মাহে আলম পরিবার। ১০এপ্রিলের ওই ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ ২০এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌরসভা থেকে সংগ্রহের পর মাহে আলমকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হন তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহে আলমের বড় ছেলে সোহেল রানা, ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন, সরোয়ার হোসেন, জসিমউদ্দীন, পরিবারের অপর সদস্য নুরআলম শেখ, জাহিদ হোসেন ও খায়রুল হোসেন।

 

খুলনার দাকোপ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি হিলটনের বলে তার পিতা-মাতা সনাক্ত করে নিয়ে যান। পরে মাহে আলম পরিবার লাশ তাদের দাবী করে এখানে একটি জিডি করেছেন। তবে লাশের ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে, পরীক্ষা করে জানা যাবে লাশটি কথিত হিলটনের নাকি মাহে আলমের। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) ও বর্তমান দায়িত্বরত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, যেহেতু লাশটি দাকোপ থানার অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছে এবং দাকোপ থানায় হত্যা মামলাও হয়েছে। এনিয়ে মামলার তদন্ত কাজও চলছে। দাবীকৃত একই ঘটনায় তো দুই থানায় মামলা নেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া ওই লাশটি হিলটনের বলে তার পরিবার নিয়েও গেছে।

 

এদিকে ওই একই লাশটি মাহে আলমের বলে তার পরিবার দাবী করছেন। এখন ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর সনাক্ত করা সম্ভব হবে লাশটি মুলত কার ছিলো। সেটি সনাক্ত হলেই ওই মামলায় তা সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি মাহে আলমের,পরিবারের দাবী

আপডেটঃ ০৮:২৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

মোংলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চিংড়ি বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি মাহে আলমকে অপহরণের পর খুন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ার দাবী তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ছোট ছেলে সুমন রানাসহ পরিবারের সদস্যরা।

 

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুমন রানা অভিযোগ করে বলেন, গত ১০এপ্রিল সকালে মামার ঘাটে ঘুরাঘুরি করা অবস্থায় স্থানীয় মোশারেফ হোসেন নামের এক বোট মাঝি তার পিতার হাত ধরে বানীশান্তা ঘাটের দিকে নিয়ে যান। এরপর মাহে আলমকে বানীশান্তা ঘাট থেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যায় মোশারেফ মাঝিসহ অজ্ঞাতরা। যা মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে পাওয়া গেছে।

 

মাহে আলমকে অপহরণ করার ঘটনার তিন দিন পর ১৩এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল এলাকা থেকে একটি অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনার দাকোপ থানা পুলিশ। ওই লাশের পরনে থাকা শার্ট-প্যান্ট মাহে আলমের বলে সনাক্ত ও দাবী করেন তার পরিবার। কিন্তু এর আগে ৭এপ্রিল বনবিভাগের অভিযানকালে মারধরে নদীতে পড়ে নিখোঁজ থাকা মোংলার চিলা এলাকার জেলে হিলটন নাথের পরনে ছিলো লুঙ্গি ও গেঞ্জি।

 

রহস্যজনক কারণে মাহে আলমের লাশ হিলটনের বলেই হিলটন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে দাকোপ থানা পুলিশ বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়। ওই লাশটি মাহে আলমের বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই লাশটি মাহে আলমের দাবী করে মোংলা ও দাকোপ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তবে এ ঘটনায় মোংলায় থানায় জিডি করেছেন মাহে আলম পরিবার। ১০এপ্রিলের ওই ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ ২০এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌরসভা থেকে সংগ্রহের পর মাহে আলমকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হন তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহে আলমের বড় ছেলে সোহেল রানা, ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন, সরোয়ার হোসেন, জসিমউদ্দীন, পরিবারের অপর সদস্য নুরআলম শেখ, জাহিদ হোসেন ও খায়রুল হোসেন।

 

খুলনার দাকোপ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল কুমার দত্ত বলেন, সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি হিলটনের বলে তার পিতা-মাতা সনাক্ত করে নিয়ে যান। পরে মাহে আলম পরিবার লাশ তাদের দাবী করে এখানে একটি জিডি করেছেন। তবে লাশের ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে, পরীক্ষা করে জানা যাবে লাশটি কথিত হিলটনের নাকি মাহে আলমের। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) ও বর্তমান দায়িত্বরত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, যেহেতু লাশটি দাকোপ থানার অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হয়েছে এবং দাকোপ থানায় হত্যা মামলাও হয়েছে। এনিয়ে মামলার তদন্ত কাজও চলছে। দাবীকৃত একই ঘটনায় তো দুই থানায় মামলা নেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া ওই লাশটি হিলটনের বলে তার পরিবার নিয়েও গেছে।

 

এদিকে ওই একই লাশটি মাহে আলমের বলে তার পরিবার দাবী করছেন। এখন ডিএনএ প্রতিবেদন পাওয়ার পর সনাক্ত করা সম্ভব হবে লাশটি মুলত কার ছিলো। সেটি সনাক্ত হলেই ওই মামলায় তা সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।