রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অপহরণ করার ২২ দিন পর গোপালগঞ্জ থেকে তিন বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব-২।
র্যাব জানায়, সিদ্দিক নামে ওই শিশুকে অপহরণের পর বিক্রি করার জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেয় অপহরণকারীরা। সিদ্দিকের নাম পাল্টে দুই লাখ টাকায় স্ট্যাম্প করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা পীযুষ দম্পতি ও শিশুটির ক্রেতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বাসার পাশে খেলছিল তিন বছরের মো. সিদ্দিক। তখন তাকেসহ খেলতে থাকা অন্য শিশুদের চকলেট খেতে দেন এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে কৌশলে শিশুটিকে কোলে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় দায়ের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলার তদন্তে নেমে পাওয়া যায় সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে শিশুটিকে অপহরণের দৃশ্য ধরা পড়ে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ২৩ দিন পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-২। এরই মধ্যে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ভিন্ন নাম-পরিচয়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– অপহরণকারী পীযূষ কান্তি পাল, তাঁর স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল, শিশুটিকে কিনে নেওয়া পল্লব কান্তি বিশ্বাস, তাঁর স্ত্রী বেবী সরকার ও কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী সুজন সুতার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রথমে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার তাড়াসি গ্রাম এবং ঢাকার সাভার থেকে অপর চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।