অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও। এ ক্ষেত্রে বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতি দুই-চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক সেক্টরে যা হয়েছে তা অকল্পনীয়। তবে ভবিষ্যতে কেউ আর টাকাপাচার করতে পারবে না।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। গভর্নর দিতে চান নাই, আমি বলেছি দাও। এটা একটু স্থিতিশীল করি। পত্রিকায় আবার লেখা হলো , নতুন মুদ্রা ছাপানো হবে। টাকা তো ছাপাতে হবেই, টাকা তো এমনিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এখন কী করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানো হয়েছে, বিষয়টা এমন না। কোনোভাবেই যেন ক্রেডিট সাপ্লাই প্রাইভেট সেক্টরে না কমে। তবে এখন একটু কম।
বেসরকারি খাতে ঋণের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যেন না কমে সেদিকে নজর দিচ্ছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়কারী এবং আইন-প্রণেতা আলাদা করা হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বার্তাবাজার/এসএইচ