চুয়াডাঙ্গা ০১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
বিএসএফকে সায়েস্তা করতে বিজিবি যথেষ্ঠ: অধিনায়ক, ৫৯ বিজিবি বিস্ফোরক পরিদপ্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চাকরির খবর DOEXP Job Circular 2025 সালমান এফ রহমান ও তার ছেলের ২৫০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ বিএনপির মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটি ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি NILG Job circular 2025 নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থানকে হুমকি মনে করছে বিএনপি: হাসনাত চুয়াডাঙ্গায় ৮ টি ইট ভাটায় ১৯ লাখ টাকা জরিমানা সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব জটিলতা বাড়াবে, ঘোষণাপত্র নিয়েও প্রশ্ন ডালিমের পর ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি PKMC Job Circular 2025

থমথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আহত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, বিজিবি মোতায়েন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিসিস্থি নিয়ন্ত্রণে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে ঝামেলা হয় একজনের। পরে বাসটি বিনোদপুর বাজারে আসলে বাস আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এক দোকানি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দোকানিরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। বাঁশ-লাঠি নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার বিনোদপুর গেটের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে দোকানিদের ধাওয়া করেন।

 

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থল আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও তার কয়েকজন অনুসারী। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান তারা। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। পরে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন তারা। এছাড়াও বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্স ও কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

 

শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষ। আগুন দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্স। এছাড়াও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ক্যাস্পাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সংঘর্ষে আমাদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ জানান, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ডাক্তারসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা বাড়ানো হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম জানান, আহতদের অনেককে বাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার এবং সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

avashnews

বিএসএফকে সায়েস্তা করতে বিজিবি যথেষ্ঠ: অধিনায়ক, ৫৯ বিজিবি

avashnews

Powered by WooCommerce

থমথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আহত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, বিজিবি মোতায়েন

আপডেটঃ ০৮:০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাস ও আশপাশ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিসিস্থি নিয়ন্ত্রণে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

 

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে ঝামেলা হয় একজনের। পরে বাসটি বিনোদপুর বাজারে আসলে বাস আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে এক দোকানি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দোকানিরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। বাঁশ-লাঠি নিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার বিনোদপুর গেটের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে দোকানিদের ধাওয়া করেন।

 

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থল আসেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও তার কয়েকজন অনুসারী। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান তারা। এ সময় মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। পরে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন তারা। এছাড়াও বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্স ও কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

 

শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষ। আগুন দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিনোদপুর গেট পুলিশ বক্স। এছাড়াও দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ক্যাস্পাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সংঘর্ষে আমাদের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ জানান, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ডাক্তারসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা বাড়ানো হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম জানান, আহতদের অনেককে বাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার এবং সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।