কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। আজ রোববার সকাল ১০টায় তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়া
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, কমিটির সবার স্বাক্ষরসংবলিত ১১ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আরও বিভিন্ন নথি সংযুক্ত করে দেওয়া আছে। হলের অন্তত ২০ জন ছাত্রীর সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে কমিটির। প্রতিবেদনে সব বিষয় খতিয়ে দেখে শুধু যেটা ঘটেছে, সেই মূল ঘটনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, আজ সকালে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা শেষে একটি সিলগালা খামে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব আলীবদ্দীন খান এ প্রতিবেদন জমা দেন। এখানে ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার ও তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মহামান্য হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দেবেন, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজই উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী মিল্টন সিলগালা কপি সঙ্গে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেবেন।
এর আগে ছাত্রী নির্যাতনের নানা দিক খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও ৭-৮ জন জড়িত বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।