হৃদরোগের সংখ্যা সবচাইতে বেশি ৩৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। আর এর মধ্যে অধিকাংশই হলেন নারী। ২০১৮ সালে এথেরোস্ক্লেরোসিস রিস্ক ইন কমিউনিটি সার্ভিলেন্স স্টাডি প্রায় ২৮ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি হৃদরোগের শিকার হয়েছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তার ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। দ্রুত এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে এবং দুটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে সুস্মিতা বলেছেন, হার্ট অ্যার্টাক হলে ভয় পাবেন না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তা হতে পারে। তবে দ্রুততার সঙ্গে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা জরুরি। তার চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছিলেন বলে তিনি আজ সুরক্ষিত আছেন। আর তাই ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
মেনোপজের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়। যে কারণে করোনারি আর্টারি ডিজিজের সম্ভাবনা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন হরমোনের তারতম্য হয়। সেখান থেকেও মহিলাদের শরীরের ওপর চাপ পড়ে। পরবর্তীতে সেখান থেকে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে নারীদের মধ্যে হৃদরোগের ঘটনা অনেক বেশি।
গত কয়েক বছরের গবেষণা থেকে উঠে এসেছে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত তামাক ব্যবহার হার্টের রোগের অন্যতম কারণ। আর তাই একটু বেশি পরিশ্রম হলেই যদি শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হয় তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নিয়মিতভাবে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে হবে।
সেইসঙ্গে রোজ ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, হাঁটা ও ব্যায়ামের অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সুস্মিতা সেদিন তার ইনস্টাগ্রাম লাইভে জানিয়েছিলেন, রোজ জিম তার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও তিনি নিয়ম করে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান- যা তাকে এত বড় হৃদরোগ থেকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে।
এছাড়া রোজকার ডায়েটের মধ্যে সালাদ, শাকসবজি ও শুকনো ফল এসব অবশ্যই রাখতে হবে। পাশাপাশি ধূমপান, মদ্যপান ও জাঙ্ক ফুড একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। ফাইবার, প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে। যত ভাবে সম্ভব মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মিতভাবে যোগ-অভ্যাস করতে হবে। এই সব নিয়ম মানতে পারলেই সুস্থ থাকবেন।