চুয়াডাঙ্গা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওমরাহ যাত্রী বাস দুর্ঘটনায় হতাহত ৩৪ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ৩৪-এ দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন নিহত বাকি ১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদির আরবের আসির প্রদেশে বাসটি উল্টে আগুন ধরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাসে মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৭ এবং এদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৪ জন।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন-

১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা-উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা-উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর

৩। খাইরুল ইসলাম

৪। মো. রাসেল মোল্লা

৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতোয়ালি, জেলা: যশোর

৬। রুহুল আমিন

৭। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর

৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী

৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার

১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার

১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী

১২। তুষার মজুমদার

১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

১৪। মিরাজ হোসাইন

১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা

১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার

১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল

১৮। রানা মিয়া।

আহত হয়ে যারা চিকৎসাধীণ রয়েছেন, তারা হলেন-

 

 

আবহা প্রাইভেট হাসপাতাল:

১। সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, থানা/উপজেলা: সিতাকুন্ড, জেলা: চট্টগ্রাম

২। আল আমিন, পিতা: আব্দুল হাই, থানা/উপজেলা: বুরহান উদ্দিন, জেলা: ভোলা

৩। মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ, থানা/উপজেলা: রায়পুরা, জেলা: লক্ষীপুর

৪। জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, থানা/উপজেলা: কচুয়া, জেলা: চাঁদপূর

৫। আফ্রিদি মোল্লা, পিতা: জাকির মোল্লা, থানা/উপজেলা: শালিকা, জেলা: মাগুরা

৬। মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, থানা/উপজেলা: চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষীপুর।

৭।  রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৮। মোঃ সেলিম (A03459571) (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

 

 

 

সৌদি-জার্মান হাসপাতাল:

১। দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী, থানা/উপজেলা: লাকসাম, জেলা: কুমিল্লা

২। হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৩। মোহাম্মদ কুদ্দুস, পিতা: আব্দুল মান্নান (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

মাহায়েল জেনারেল হাসপাতাল:

১। মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী

২। ইয়ার হোসাইন, পিতা: আব্দুল মালেক, থানা/উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

৩। মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, থানা/উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

৪। মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, থানা/উপজেলা: মোহাম্মদপুর, জেলা: মাগুরা।

আসীর জেনারেল হাসপাতাল:

১। মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর।

খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটির ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

 

 

সংবাদ পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া হতাহতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়ল

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ওমরাহ যাত্রী বাস দুর্ঘটনায় হতাহত ৩৪ বাংলাদেশির পরিচয় মিলেছে

প্রকাশ : ১২:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ৩৪-এ দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জন নিহত বাকি ১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদির আরবের আসির প্রদেশে বাসটি উল্টে আগুন ধরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাসে মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৭ এবং এদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৪ জন।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন-

১। রুকু মিয়া, পিতা: কালা মিয়া, থানা-উপজেলা: কসবা, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

২। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: মো. আব্দুল লতিফ, থানা-উপজেলা: টঙ্গী, জেলা: গাজীপুর

৩। খাইরুল ইসলাম

৪। মো. রাসেল মোল্লা

৫। মো. নজরুল ইসলাম, পিতা: কাউসার মিয়া, থানা: কোতোয়ালি, জেলা: যশোর

৬। রুহুল আমিন

৭। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর

৮। মো. হেলাল উদ্দিন, নোয়াখালী

৯। মোহাম্মদ আসিফ, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার

১০। শাফাতুল ইসলাম, উপজেলা: মহেশখালী, জেলা: কক্সবাজার

১১। শাহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী

১২। তুষার মজুমদার

১৩। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আউয়াল, উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

১৪। মিরাজ হোসাইন

১৫। গিয়াস, পিতা: হামিদ, উপজেলা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা

১৬। মো. হোসাইন, পিতা: কাদের হোসাইন, উপজেলা: রামু, জেলা: কক্সবাজার

১৭। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল

১৮। রানা মিয়া।

আহত হয়ে যারা চিকৎসাধীণ রয়েছেন, তারা হলেন-

 

 

আবহা প্রাইভেট হাসপাতাল:

১। সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, থানা/উপজেলা: সিতাকুন্ড, জেলা: চট্টগ্রাম

২। আল আমিন, পিতা: আব্দুল হাই, থানা/উপজেলা: বুরহান উদ্দিন, জেলা: ভোলা

৩। মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ, থানা/উপজেলা: রায়পুরা, জেলা: লক্ষীপুর

৪। জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, থানা/উপজেলা: কচুয়া, জেলা: চাঁদপূর

৫। আফ্রিদি মোল্লা, পিতা: জাকির মোল্লা, থানা/উপজেলা: শালিকা, জেলা: মাগুরা

৬। মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, থানা/উপজেলা: চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষীপুর।

৭।  রানা (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৮। মোঃ সেলিম (A03459571) (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

 

 

 

সৌদি-জার্মান হাসপাতাল:

১। দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী, থানা/উপজেলা: লাকসাম, জেলা: কুমিল্লা

২। হোসাইন আলী (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

৩। মোহাম্মদ কুদ্দুস, পিতা: আব্দুল মান্নান (প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন)

মাহায়েল জেনারেল হাসপাতাল:

১। মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ, থানা/উপজেলা: সেনবাগ, জেলা: নোয়াখালী

২। ইয়ার হোসাইন, পিতা: আব্দুল মালেক, থানা/উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

৩। মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, থানা/উপজেলা: মুরাদনগর, জেলা: কুমিল্লা

৪। মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, থানা/উপজেলা: মোহাম্মদপুর, জেলা: মাগুরা।

আসীর জেনারেল হাসপাতাল:

১। মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন, থানা: কোতয়ালী, জেলা: যশোর।

খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওমরাহ যাত্রী বহনকারী বাসটির ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।

 

 

সংবাদ পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া হতাহতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে।