স্বামীকে মিষ্টি কিনতে পাঠিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে গৃহবধু। এসময়ে ওই গৃহবধু নগদ ৬ লাখ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। যশোর শার্শা পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে আদলাতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন গৃহবধুর স্বামী নজরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযুক্তরা হল, বাদীর স্ত্রী ওই গ্রামের বাবু ইসলামের মেয়ে রোজিনা খাতুন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল হোসেন ও রোজিনার বড় বোন অভয়বাস গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন।
যশোর আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদি বলেন, তিনি গত চার বছর দুবাইয়ে ছিলেন। তাদের সংসারে ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিদেশে থাকাকালীন তার স্ত্রী রোজিনা একই গ্রামের ইসরাফিলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত চার বছরে নজরুল দুবাই থেকে স্ত্রীর নামে ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠান, যা দিয়ে স্ত্রী রোজিনা খাতুন বসন্তপুর মৌজায় ১০ লাখ টাকা দিয়ে ২৭ শতক জমি কেনেন। ওই জমি নিজের নামে লিখে নেন রোজিনা। গত আড়াই মাস আগে বাদী দেশে ফিরে রোজিনার পরকীয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়টি জানতে পারেন। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
৪ মার্চ রোজিনা তার বোন মর্জিনাকে বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর রোজিনা বোনের জন্য মিষ্টি আনতে বাজারে পাঠায় স্বামী নজরুলকে। এ সুযোগে তারা ঘর দেড় ভরি ওজনের সোনার চেইন, কানের দুল, হাতের বালা ও নগদ ছয় লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি তিনি শার্শার নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুলকে জানান। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। এরপর তিনি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, আমি এখনো আদালতের কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।