মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় পণ্য বিক্রি করার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর বড় বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে মুদিখানা, মুরগি, তরমুজসহ ফলমুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার সময় এ জরিমানা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহা. সজল আহম্মেদ বলেন, বড়বাজার মুরগির বাজারে তদারকিকালে মেসার্স নিউ ব্রয়লার হাউস নামক প্রতিষ্ঠানে মুরগির ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় মুরগি বিক্রয় ও মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১ হাজার টাকা, মেসার্স হাসান ব্রয়লার কর্নার এর মালিক মজনু মিয়াকে একই অপরাধে ও ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মুদি দোকান মেসার্স কাউছার স্টোরের মালিক কাউছার আলীকে দোকানে তেল চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা এবং মেসার্স কৃষি বাণিজ্যালয়ের মালিক শহিদুল হককে মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মেসার্স রাজধানী ভান্ডারের মালিক রবিউল হককে একই অপরাধ ও ধারায় ১ হাজার টাকা, মেসার্স অর্জুন স্টোরের মালিক শ্রী অর্জুন সাহাকে পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা, চৌরাস্তা মোড়ে মেসার্স হামিদ ফল ভান্ডারের মালিক আব্দুল হামিদকে তরমুজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করে অধিক মুনাফায় তরমুজ বিক্রয় ও ফলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন- জেলা মার্কেটিং ও কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।
জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।