চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা আশির্বাদ এজি স্কুলের ৫ম শ্রেণীর শিশু ছাত্রী রুপাইয়া খাতুন(১১)কে দুই হাত তুলে জিব্হা বের করে রোদে দাড় করিয়ে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।শাস্তিপ্রাপ্ত শিশু ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা রয়েছে।
রুবাইয়া খাতুন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের শাহিন হোসেনের মেয়ে।
আজ রোববার(১৪ মে) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর শিক্ষীকা নদী মন্ডলের শাস্তির দাবীতে লিখিত অভিযোগ করেছে তার বাবা শাহিন হোসেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, প্রতিদিনের মত রুবাইয়া স্কুলে যায় গত বুধবার (১০ মে)স্কুলে গেলে স্কুলের অতিথী শিক্ষক নদী মন্ডল তাকে একটি চিঠি লিখতে বলেন। চিঠি লেখা ভুল হওয়ায় লিখন মন্ডলের স্ত্রী নদী খাতুন তাকে প্রখর রোদে সুর্যের দিকে মুখ করে জিহবা বের করে দেড় ঘন্টা রোদ্রে দাড় করিয়ে রাখে। এরপর শিশু ছাত্রী টি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বাড়ী পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার মা,বাবা বিষয়টি যানতে পেরে অসুস্থ্য মেয়েকে বৃহস্পতিবার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তাকে বাড়ীতে নেওয়া হয়।
পরে তার প্রচন্ড জ্বর দেখা দেয় এতে সে ঠিকমত কথা বলতে পারছেনা। এমন অবস্থায় শুক্রবার (১২ মে)তাকে আবারো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে ভর্তিকরা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা মিতালি মন্ডল বলেন, নদী মন্ডল বিদ্যালয়ের শিক্ষীকা নয় সে একজনের পরিবর্তে ক্লাশ নিচ্ছিল। শিশুটিকে রোদ্রে দাঁড় করিয়ে রেখে এমন সাস্তি দেওয়া ঠিক হয়নি।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুসরাত জাহান বলেন,শিশুটির আগে থেকে জ্বর ছিল তারপর পচন্ড রোদ্রে দাড়করিয়ে শাস্তি দেওয়ায় হিট স্টোক ও আতংকে আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা চলছে সব ঠিক হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন,আমি ছুটিতে আছি ডাক ফাইলে শিশুটির বাবা অভিযোগ করেছে। আমি আগামি কাল সোমবার অফিসে যেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।