চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গায় গ্রাম বাংলা এন্টার প্রাইজ নামে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)র দুই কর্মকর্তা স্থানীয় দের নিকট কিস্তিতে লোন দেওয়ার দেওয়ার নামে দুই লক্ষাধিক টাকা সঞ্চয় আদায় করে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন একই সংস্থার মাঠ কর্মি ইসমে আজম জিম। রোববার (১৬জুলাই) সন্ধায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, সপ্তাহ খানেক আগে উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা বাজারের একটি বাড়ীতে গ্রাম বাংলা এন্টার প্রাইজ নামে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) একটি সাইন বোর্ড টানানো হয়। ঐ সময় স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা এলাকার ইসমে আজম জিম,সোহানা খাতুন,বিউটি খাতুন ও হাছিনা খাতুন কে মাঠ কর্মি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরে এলাকার অভাব গ্রস্ত মানুষ দেরকে লোন দেওয়ার নামে সঞ্চয় আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়। উক্ত মাঠ কর্মিরা ঐ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে সদস্য সংগ্রহ করে ও তাদের নিকট থেকে ২লক্ষ টাকা সঞ্চয় আদায় করে। পরে তা সংস্থার ম্যানেজার মেহেরপুর জেলার গাংনি থানার হাসান আলি ও এরিয়া ম্যানেজার একই এলাকার আল –মামুনের নিকট জমা দেওয়া হয়। সদস্যরা লোন ১৫ জুলাই শনিবার লোন নিতে অফিসে এসে দেখে অফিসে তালাবদ্ধ।
তখন তারা মাঠ কর্মিদেরকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকলে তখন মাঠ কর্মিরা ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজার কে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কোন উপায় না পেয়ে মাঠ কমি ইসমে আজম জিম ১৬ জুলাই রোববার দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সংস্থার হাসান আলি ও এরিয়া ম্যানেজার একই এলাকার আল –মামুনের নিকট মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার এস আই ওবাইদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করা হয়েছে কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।