চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ধর্ষণের পর ময়রম (১১) নামের এক কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ময়রম গোয়ালপাড়া দক্ষিণ নতুন মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা ইকবাল মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ময়রব বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী কয়েকজন কিশোরী আর তার ছোট বোনের সঙ্গে মাঠে শাক তুলতে যায়। দুপুরের দিকে ময়রমের সঙ্গে যারা ছিল তারা বাড়ি এসে জানায় ময়রমকে ধরে একজন ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
পরে পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে খোঁজাখুজি করে ভুট্টার খেতে তার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকে দেখে। এ সময় ময়রমের গায়ে গেঞ্জি থাকলেও পরনের পায়জামা সাইডে পড়ে ছিল।
ময়রমের দাদি জাহানারা বলেন, মেয়ে দুটো মসজিদে ছিল। মসজিদ থেকে এসে মাকে বললো ভাত দে। ভাত খেয়ে শাক তুলতে যাব। একটু পর পাশের বাড়ির শফিকুলের মেয়ে এসে ময়রমকে বলছিল তারাতাড়ি খেয়ে শাক তুলতে যাব। আমি আবার বলছি মদু কার সঙ্গে যাবি। বলল আমরা কয়জনই যাব। বলে তারা সেই চলে যায়।
দুপুরের দিকে তিনজন কাঁদতে কাঁদতে এসে বলছে ময়রমকে পাচ্ছি না। একজন ময়রমকে ভুট্টার মধ্যে নিয়ে গেছে। তার মুখে তিল ছিল। আমরা তখন ভাত রান্না ফেলে ভুট্টা মধ্যে গিয়ে দেখি ময়রম চিত হয়ে পড়ে রয়েছে। গায়ে গেঞ্জি ছিল। পায়জামা পাশেপড়ে ছিল।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবিদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হবে। জড়িতকে শনাক্ত করতে সব ধরনের পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে কে বা কাহারা ময়রমকে ধর্ষণের করে হত্যা করছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা ও ধর্ষনের বিষটি নিশ্চিত করে বলা যাবে।