চুয়াডাঙ্গা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ২ দালালের কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুই দালালের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেস্ট শামীম ভূইয়া এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছী মুসলিমপাড়ার আশু স্বর্ণকারের ছেলে জুয়েল রানা (৩০) ও দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের রাসেল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৩)।

 

ভ্রাম্যামাণ আদালতের বিচারক শামীম ভূইয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল জনগণের জন্য বিনা পয়সায় সরকার কর্তৃক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এখানে এক শ্রেণীর সেচ্ছাসেবকরা দালালদের মতো কাজ করে। যারা সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। এ কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবগুলো সেচ্ছাসেবীকে বের করে দেয়।

 

এই সেচ্ছাসেবকদের কারণেই সেবাপ্রার্থীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। তারা রোগীদের কাছ থেকে নামমাত্র সেবা দিয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে থাকে। এক কথায় ওইসব সেচ্ছাসেবীরা দালালী করে আসছে। আমরা দালালদের ব্যপারে খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছি।

 

রোববার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই দালাল আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে গণ উপদ্রব সৃষ্টির দায়ে দুজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সদর হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

Powered by WooCommerce

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ২ দালালের কারাদণ্ড

আপডেটঃ ১১:৫৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুই দালালের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেস্ট শামীম ভূইয়া এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছী মুসলিমপাড়ার আশু স্বর্ণকারের ছেলে জুয়েল রানা (৩০) ও দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের রাসেল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২৩)।

 

ভ্রাম্যামাণ আদালতের বিচারক শামীম ভূইয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল জনগণের জন্য বিনা পয়সায় সরকার কর্তৃক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। এখানে এক শ্রেণীর সেচ্ছাসেবকরা দালালদের মতো কাজ করে। যারা সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। এ কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবগুলো সেচ্ছাসেবীকে বের করে দেয়।

 

এই সেচ্ছাসেবকদের কারণেই সেবাপ্রার্থীরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। তারা রোগীদের কাছ থেকে নামমাত্র সেবা দিয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে থাকে। এক কথায় ওইসব সেচ্ছাসেবীরা দালালী করে আসছে। আমরা দালালদের ব্যপারে খুবই কঠোর অবস্থান নিয়েছি।

 

রোববার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই দালাল আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে গণ উপদ্রব সৃষ্টির দায়ে দুজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে সদর হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।