চুয়াডাঙ্গা ০১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ বছর পর খুলে দেয়া হল দর্শনা-গেদে বন্দর চেকপোস্ট

দর্শনা-গেদে বন্দর চেকপোস্ট

দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দেয়া হল দর্শনা-গেদে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। এখন থেকে এ রুটে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য সবধরনের ভিসা ইস্যু করবে ভারতীয় হাইকমিশন।

 

গত ২৪ ডিসেম্বর দর্শনা-গেদে বন্দর চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) শ্রী মনোজ কুমার। তখন তিনি আশ্বস্ত করেন খুব শিগগির দর্শনা-গেদে চেকপোস্ট চালু করা হবে। এরপর তিনি পদক্ষেপ নেন। এরই প্রেক্ষিতে ২ মার্চ (চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-নদীয়া পশ্চিমবঙ্গ) এবং (চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ-পশ্চিবঙ্গের মালদা জেলার মেহেদীপুর) বন্দর খুলে দিয়েছে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেনার্স ডিভিশন।

 

করোনা মহামারি কারণে ২০২০ সালে ২৬ মার্চ দর্শনা-গেদে স্থলপথে সব ধরনের ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে বয়স্ক রোগী ও বিজনেস ভিসা চালু করা হলে ২০০১ সালের ৫ ডিসেম্বর তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে গত প্রায় ৩ বছর দর্শনা-গেদে স্থলপথে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে রেলপথে এ বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি চালু ছিল।

এদিকে দর্শনা-গেদে রুটে ভিসা না দেয়ায় ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিরা ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়েন। বিশেষ করে রোগী, যারা ভারতে চিকিৎসায় যান। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে হাজার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পুরুষ-নারী ২৪ ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেকে মারাও গেছেন।

 

এদিকে দর্শনা-গেদে রুটে ভারত ভ্রমণ বিশেষ করে কলকাতা যাওয়া অত্যন্ত সহজ ও কম খরচ। মাত্র ৩৫ টাকায় টিকেট কেটে গেদে রেলস্টেশন থেকে কলকাতায় যাওয়া যায়। গেদে স্টেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করে কলকাতা-শিয়ালদহ-গেদে।

 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তরবঙ্গের সকল জেলা এবং দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার মানুষ এ রুট দিয়ে ভারত ভ্রমণ করে থাকেন। করোনার আগে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার পাসপোর্টধারী এ বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ করতেন।

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

৩ বছর পর খুলে দেয়া হল দর্শনা-গেদে বন্দর চেকপোস্ট

আপডেটঃ ১০:২৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) থেকে বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দেয়া হল দর্শনা-গেদে বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। এখন থেকে এ রুটে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য সবধরনের ভিসা ইস্যু করবে ভারতীয় হাইকমিশন।

 

গত ২৪ ডিসেম্বর দর্শনা-গেদে বন্দর চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) শ্রী মনোজ কুমার। তখন তিনি আশ্বস্ত করেন খুব শিগগির দর্শনা-গেদে চেকপোস্ট চালু করা হবে। এরপর তিনি পদক্ষেপ নেন। এরই প্রেক্ষিতে ২ মার্চ (চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-নদীয়া পশ্চিমবঙ্গ) এবং (চাপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ-পশ্চিবঙ্গের মালদা জেলার মেহেদীপুর) বন্দর খুলে দিয়েছে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেনার্স ডিভিশন।

 

করোনা মহামারি কারণে ২০২০ সালে ২৬ মার্চ দর্শনা-গেদে স্থলপথে সব ধরনের ভিসা বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে বয়স্ক রোগী ও বিজনেস ভিসা চালু করা হলে ২০০১ সালের ৫ ডিসেম্বর তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে গত প্রায় ৩ বছর দর্শনা-গেদে স্থলপথে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে রেলপথে এ বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি চালু ছিল।

এদিকে দর্শনা-গেদে রুটে ভিসা না দেয়ায় ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিরা ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়েন। বিশেষ করে রোগী, যারা ভারতে চিকিৎসায় যান। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে হাজার হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পুরুষ-নারী ২৪ ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেকে মারাও গেছেন।

 

এদিকে দর্শনা-গেদে রুটে ভারত ভ্রমণ বিশেষ করে কলকাতা যাওয়া অত্যন্ত সহজ ও কম খরচ। মাত্র ৩৫ টাকায় টিকেট কেটে গেদে রেলস্টেশন থেকে কলকাতায় যাওয়া যায়। গেদে স্টেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করে কলকাতা-শিয়ালদহ-গেদে।

 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তরবঙ্গের সকল জেলা এবং দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার মানুষ এ রুট দিয়ে ভারত ভ্রমণ করে থাকেন। করোনার আগে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার পাসপোর্টধারী এ বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ করতেন।