ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তার জীবনযাপনের প্রতিটি মুহূর্তের খবর রাখতে মরিয়া ভক্তরা। তবে এই তারকা ফুটবলারকে নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন সৌদি আরবে আল নাসর ক্লাবের সাবেক গোলকিপার ওয়ালিদ আব্দুল্লাহ। তিনি জানান, ‘ইসলাম গ্রহণ’ করতে চান রোনালদো।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জিও সুপারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোনালদোর ইসলাম গ্রহণ নিয়ে দীর্ঘদিনের গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ গুঞ্জনের মধ্যেই টেলিভিশনে এক শোতে অংশ নিয়ে আব্দুল্লাহ বলেন, রোনালদো ইসলাম গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সৌদি আরবের সংস্কৃতি ও কালচারের প্রতি রোনালদোর শ্রদ্ধাবোধের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, রোনালদো আসলেই ইসলাম গ্রহণ করতে আগ্রহী। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গোল করার পর ইতোমধ্যে তিনি সেজদাও দিয়েছেন। তিনি সবসময় খেলোয়াড়দের নামাজ ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার বিষয়ে উৎসাহ দেন।
আল নাসরের সাবেক এ গোলকিপার বলেন, তিনি অনুশীলনের সময় আজান দিলে খেলোয়াড়দের নামাজের জন্য কোচকে বিরতির অনুরোধ জানিয়েছেন, তার ভাষায়, প্রশিক্ষণের সময় আজান দিলে রোনালদো কোচকে আজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিরতির অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, শুরুর দিকে আমি রোনালদোর খুব কাছের মানুষ ছিলাম। কেননা তিনি ক্লাব, কালচার বা সংস্কৃতির কিছুর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কৌতূহলী হতেন এবং আমার কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাইতেন। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে এ ফুটবল তারকার খেলার মাঠে সেজদার ঘটনা তুলে ধরেন।
সাবেক এ গোলকিপার বলেন, রোনালদো গোল করার পর যখন মাঠে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন তখন সব খেলোয়াড় একযোগে আল্লাহু আকবার বলে চিৎকার করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল রোনালদোর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি। তবে পরবর্তীতে সেটি গুজব বলে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু এবার একটি টিভিশোতে আল নাসরের সাবেক গোলরক্ষক দিয়েছিন অবাক করা সব তথ্য।
রিয়াল তারকা করিম বেনজেমা আর ম্যাসুট ওজিল এর আগেও প্রকাশ করেছিলেন ইসলামের প্রতি রোনালদোর প্রতি রোনালদোর অনুরাগের কথা। তবে রোনালদো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুক বা না করুক, তার বিনম্রতা, শৃঙ্খলা এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার প্রতিশ্রুতি তাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আল নাসরের সাবেক গোলরক্ষক ওয়ালিদ আবদুল্লাহ।