স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জুলাই-আগস্টে আহতদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করা হলের তারা ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এখনো বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন হচ্ছে আহতরা চিকিত্সা পাচ্ছেন না, তাদের সুচিকিত্সার আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
‘স্বাস্থ্য সেবায় এনজিও’র সম্পৃক্ততা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদষ্টোর কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুলস্নাহ পান্না, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনজিও বিষয়ক বু্যরোর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।
প্রধান উপদষ্টোর কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুলস্নাহ পান্না বলেন, সব কাজ অটোমেশন করা হয়েছে। কোনো কাজ আর আটকে থাকবে না। এর পরও কোনো কাজ আটকে থাকলে তা জানানোর জন্য বলেন তিনি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের পরিবারকে কিভাবে পুনর্বাসন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এনজিওগুলো উপকূলসহ তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারে বলে জানান এনজিও প্রতিনিধিরা।
তারা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সরকারি বরাদ্দ দিয়ে এনজিওদের হাতে দায়িত্ব দিলে তারা এটি আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারবে। এনজিও ব্যুরোতে কোনো কাজ আটকে থাকে না বলে প্রশংসা করেন এনজিও প্রতিনিধিরা। তবে সহযোগী কিছু অধিদপ্তর, কার্যালয়ে কাজের জন্য গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়- এসব নিরসনের দাবি জানান তারা।