অবশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ছয়টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সেতুমন্ত্রী এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু পার হতে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ঘণ্টায় ৬০ কিমি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০ এপ্রিল সকাল ছয়টা থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। পদ্মা সেতুর বাম পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে চলবে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই সার্ভিস লেনের বাইরে মূল সেতুতে মোটরসাইকেল আসতে পারবে না। নির্ধারিত হারে টোল দিতে হবে। নিয়ম মেনে না চললে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে।
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে অন্তত ৪৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয় স্বপ্নের সেতুটি দিয়ে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ২৭ হাজার। ওইদিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। যা এখনো চলছে।
সেতুটি দিয়ে বাইক চলাচলের জন্য বাইকারদের বিভিন্ন সংগঠন অনেকদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও অনুমতি মিলছিল না। অবশেষে ঈদের আগে বাইক নিয়ে সেতু পারাপারের অনুমতি এলো সরকারের পক্ষ থেকে।
পদ্মা সেতুতে বাইক চলার অনুমতি দেওয়ার পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
যোগাযোগ করলে প্রতিমন্ত্রী খালিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকের একনেক সভায় এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখতে। একটি নীতিমালা হয়েছে সে অনুযায়ী চলতে হবে। এছাড়াও আলাদা লেন থাকবে সেই লেনে চলবে মোটরসাইকেল। গতিসীমাও নির্ধারণ করা আছে।