চুয়াডাঙ্গা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লন্ডন পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেই হাসপাতাল নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।

 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এ বিষয়ে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।

 

তিনি বলেন, আজকে সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় খালেদা জিয়াকে বহন করার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে।

 

লন্ডন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ডা. জোয়াইদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির ২ নেতা। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি যাবেন।

ডা. জাহিদ বলেন, লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি পুরোনো হাসপাতাল আছে, সেখানে ম্যাডামকে ভর্তি করানো হবে এবং চিকিৎসা চলবে। এই হাসপাতালে ম্যাডামের পরীক্ষা-নীরিক্ষা হবে। তাদের পরামর্শে ম্যাডামের চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের পরামর্শ ও রিভিউর পর খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা কী ধরনের হবে তা বলা যাবে বলেও জানান ডা. জাহিদ।

 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য বিভিন্ন সময় দেশবাসী দোয়া করেছেন, সে জন্য তিনি সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেনি। তিনি যাতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য ম্যাডাম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনিও দেশবাসীর জন্য দোয়া করছেন।

 

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের যে বয়স এবং তাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটে যাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, লন্ডন ক্লিনিকে এই সুবিধা আছে। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাডামের পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে।

 

খালেদা জিয়াকে লন্ডনের যে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে সেটি সবচেয়ে পুরানো, বিশ্বস্ত এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টার। সেখানে তাদের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

ডা. জাহিদ বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যদি খালেদা জিয়ার আমেরিকার চিকিৎসার সুপারিশ করে কিংবা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে যদি এমন কোনো চিকিৎসা না থাকে, যেটা ম্যাডামের প্রয়োজন তখন বিষয়টি আসবে।

Source link

Powered by WooCommerce

লন্ডন পৌঁছে বিমানবন্দর থেকেই হাসপাতাল নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

আপডেটঃ ০৭:৩০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।

 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এ বিষয়ে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।

 

তিনি বলেন, আজকে সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় খালেদা জিয়াকে বহন করার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে।

 

লন্ডন বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী ডা. জোয়াইদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির ২ নেতা। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি যাবেন।

ডা. জাহিদ বলেন, লন্ডন ক্লিনিক নামে একটি পুরোনো হাসপাতাল আছে, সেখানে ম্যাডামকে ভর্তি করানো হবে এবং চিকিৎসা চলবে। এই হাসপাতালে ম্যাডামের পরীক্ষা-নীরিক্ষা হবে। তাদের পরামর্শে ম্যাডামের চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের পরামর্শ ও রিভিউর পর খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা কী ধরনের হবে তা বলা যাবে বলেও জানান ডা. জাহিদ।

 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য বিভিন্ন সময় দেশবাসী দোয়া করেছেন, সে জন্য তিনি সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেনি। তিনি যাতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থভাবে দেশে ফিরে আসতে পারেন তার জন্য ম্যাডাম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনিও দেশবাসীর জন্য দোয়া করছেন।

 

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের যে বয়স এবং তাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটে যাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, লন্ডন ক্লিনিকে এই সুবিধা আছে। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাডামের পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে।

 

খালেদা জিয়াকে লন্ডনের যে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে সেটি সবচেয়ে পুরানো, বিশ্বস্ত এবং আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টার। সেখানে তাদের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

ডা. জাহিদ বলেন, লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা যদি খালেদা জিয়ার আমেরিকার চিকিৎসার সুপারিশ করে কিংবা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে যদি এমন কোনো চিকিৎসা না থাকে, যেটা ম্যাডামের প্রয়োজন তখন বিষয়টি আসবে।

Source link