নাশকতা মামলায় চুয়াডাঙার দামুড়হুদায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৭ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. জিয়া হায়দার জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটকরা হলেন-দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ম সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, নাটুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন,
হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিশ্বাস ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মোকররম হোসেন।
গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে বিএনপির ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড করার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছে, এমন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকজন পালিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের কাছ থেকে ৭ টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও ১৫ টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার হয় বলে পুলিশ দাবি করেন। এ ঘটনায় এসআই সোয়াদ বিন মোবারক বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তাপস কুমার জানান, এজাহার নামীয় ২২ জন আসামির মধ্যে ১৭ জন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য হাজির হলে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান বিচারক মো.জিয়া হায়দার। এ ছাড়া এজাহার নামীয় অপর ৫ জন আসামি জামিনে আছেন।