চুয়াডাঙ্গা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর ‘চার খলিফার’ এক খলিফা নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন

স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠজন খ্যাত ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

 

আজ বুধবার ভোররাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

নূরে আলম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান। আজ সকাল ১০টায় তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ঝিনাইদহে নেওয়া হবে।

সেখানে জানাজার পর বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে কবরস্থ করা হবে, যোগ করেন অনিকেত রাজেশ।

 

সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।

 

নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।

নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণা করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন এবং ৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (নূরে আলম সিদ্দিকী) মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফা খ্যাত জ্যেষ্ঠ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন। ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনসহ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনগুলোতে তার সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের কথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

ড. মোমেন শোকবার্তায় মরহুম নূরে আলম সিদ্দিকীর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

Powered by WooCommerce

বঙ্গবন্ধুর ‘চার খলিফার’ এক খলিফা নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন

আপডেটঃ ০১:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার জ্যেষ্ঠজন খ্যাত ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

 

আজ বুধবার ভোররাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

নূরে আলম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান। আজ সকাল ১০টায় তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ঝিনাইদহে নেওয়া হবে।

সেখানে জানাজার পর বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এরপর সাভারে নিজের করা মসজিদের পাশে তাকে কবরস্থ করা হবে, যোগ করেন অনিকেত রাজেশ।

 

সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।

 

নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।

নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণা করে বলেন, নূরে আলম সিদ্দিকী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন এবং ৭০-এর নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (নূরে আলম সিদ্দিকী) মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জাতির এই সাহসী সন্তানের অবদান পরবর্তী প্রজন্ম চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

 

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফা খ্যাত জ্যেষ্ঠ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন। ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনসহ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনগুলোতে তার সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানের কথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

ড. মোমেন শোকবার্তায় মরহুম নূরে আলম সিদ্দিকীর রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।