রাজধানীর গুলশান থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব খানকে উদ্ধার গুলশান থানা পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্য রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, অপহৃত ভুক্তভোগী মো. আইয়ুব খান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ২৬ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কেনাকাটা করে প্রাইভেটকারযোগে গুলশানের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গুলশান-২ এর ৯৮ নম্বর রোড এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা মোটরসাইকেলযোগে এসে তার গাড়ি থামায়। তারা গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগীকে আইয়ুব খানকে প্রাইভেটকারসহ অপহরণ করে।
পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃতের স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওই দিন অপহৃতের স্ত্রী সাহিদা আরোবি ওরফে সুমির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, মামলা রুজুর পর গুলশান থানা পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়। একপর্যায়ে অপহৃতের স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে রিপনকে বনানীর হোটেল শেরাটনের সামনে থেকে রাত দেড়টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনানীর নয় নম্বর রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ব্যক্তি ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়। এসময় অপর অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব খানকে অপরহণ করেছিল বলে স্বীকার করেছে।
গুলশান থানার মামলায় গ্রেফতার রিপনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু-তদন্ত ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
টিটি/এমএএইচ/জিকেএস