চুয়াডাঙ্গা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে বিশ্বের ৪০ শতাংশ উদ্ভিদের প্রজাতি


এই অজানা প্রজাতিসমূহ; যাদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে- তারাই পৃথিবীর আগামী দিনের খাদ্য, ওষুধ এবং উদ্ভিজ্জ উৎসের জ্বালানির ‘গোপন রত্নভান্ডার’ হতে পারে।

টিবিএস ডেস্ক

01 October, 2020, 09:00 am

Last modified: 01 October, 2020, 09:38 am

ছবি: গেটি ইমেজ

“>
rainforest flames 2017

ছবি: গেটি ইমেজ

প্রাকৃতিক পরিবেশের বিনাশের কারণে পৃথিবীর প্রতি পাঁচটি উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে দুইটি বিপন্ন হওয়ার মুখে। আন্তর্জাতিক একটি গবেষণার সূত্রে একথা জানা গেছে। 

উদ্ভিদ, গুল্ম এবং শৈবাল পৃথিবীতে জীবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নির্ধারণ করে সবল বাস্তুসংস্থান। কিন্তু, এখন উদ্ভিদের নানা প্রজাতি এত দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীদের অনেক প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হওয়ার আগেই তাদের শনাক্ত করে রেকর্ড রাখার বিশাল এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। খবর গার্ডিয়ানের।

এই অজানা প্রজাতিসমূহ; যাদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে- তারাই পৃথিবীর আগামী দিনের খাদ্য, ওষুধ এবং উদ্ভিজ্জ উৎসের জ্বালানির ‘গোপন রত্নভান্ডার’ হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় বলেছেন, উদ্ভিদের বিলুপ্তির ঝুঁকি পূর্বের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি যা ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই হার ছিলো ২১ শতাংশ।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছে ইংল্যান্ডের রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেন যাতে যুক্ত ছিলেন বিশ্বের ৪২ টি দেশের ২১০ জন বিজ্ঞানী।

২০১৯ সালে ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছিল। যার মধ্যে ইউরোপ এবং চীনে রয়েছে অ্যালিয়ামের (পেঁয়াজ –রসুন জাতীয় উদ্ভিদের প্রজাতি) ছয়টি প্রজাতি, পেঁয়াজ এবং রসুনের একই গ্রুপ, ক্যালিফোর্নিয়ায় পালং শাকের ১০টি প্রকারভেদ এবং কাসাভা’র দুটি বুনো প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই উদ্ভিদগুলো জলবায়ু সঙ্কটের মধ্যে ভবিষ্যতে বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্যে সহায়তা করতে পারবে।  

ইংল্যান্ডের রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেনের বিজ্ঞান বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক অ্যালেক্সান্দ্রে অ্যান্তোনেলি বলেন, “উদ্ভিদ এবং ছত্রাক ছাড়া আমরা বাঁচতে পারবো না। সকল জীবনই তাদের ওপর নির্ভরশীল। এখনই সময় উদ্ভিদের এই গোপন রত্নভান্ডার খুলে দেওয়ার।”

তিনি বলেন, “প্রত্যেকবার যখন আমরা একটি করে উদ্ভিদের প্রজাতি হারাই, তখন প্রকৃত অর্থে মানবজাতির জন্য একটি করে সুযোগ হারাই। সময়ের বিপরীতে যে লড়াই সেখানে আমরা হেরে যাচ্ছি। উদ্ভিদের প্রজাতিগুলোকে খুঁজে পাওয়া এবং নামকরণের আগেই সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।”

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান উদ্ভিদের প্রজাতিরগুলোর খুব সামান্য অংশই খাবার এবং জৈব জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ৭ হাজারেরও বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ ভবিষ্যতের ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রাখে, তবুও বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য এর অল্পই ব্যবহৃত হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, প্রায় আড়াই হাজার জাতের উদ্ভিদ রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জন্য শক্তি সরবরাহ করতে পারে। অথচ ভুট্টা, আখ, সয়াবিন, পাম তেল, রেপিসিড এবং গম এই ছয়টি ফসল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জৈব জ্বালানীর যোগান দিয়ে যাচ্ছে।
 





Source link

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে বিশ্বের ৪০ শতাংশ উদ্ভিদের প্রজাতি

আপডেটঃ ১২:২৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪


এই অজানা প্রজাতিসমূহ; যাদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে- তারাই পৃথিবীর আগামী দিনের খাদ্য, ওষুধ এবং উদ্ভিজ্জ উৎসের জ্বালানির ‘গোপন রত্নভান্ডার’ হতে পারে।

টিবিএস ডেস্ক

01 October, 2020, 09:00 am

Last modified: 01 October, 2020, 09:38 am

ছবি: গেটি ইমেজ

“>
rainforest flames 2017

ছবি: গেটি ইমেজ

প্রাকৃতিক পরিবেশের বিনাশের কারণে পৃথিবীর প্রতি পাঁচটি উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে দুইটি বিপন্ন হওয়ার মুখে। আন্তর্জাতিক একটি গবেষণার সূত্রে একথা জানা গেছে। 

উদ্ভিদ, গুল্ম এবং শৈবাল পৃথিবীতে জীবনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান নির্ধারণ করে সবল বাস্তুসংস্থান। কিন্তু, এখন উদ্ভিদের নানা প্রজাতি এত দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানীদের অনেক প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হওয়ার আগেই তাদের শনাক্ত করে রেকর্ড রাখার বিশাল এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। খবর গার্ডিয়ানের।

এই অজানা প্রজাতিসমূহ; যাদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে- তারাই পৃথিবীর আগামী দিনের খাদ্য, ওষুধ এবং উদ্ভিজ্জ উৎসের জ্বালানির ‘গোপন রত্নভান্ডার’ হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় বলেছেন, উদ্ভিদের বিলুপ্তির ঝুঁকি পূর্বের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি যা ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই হার ছিলো ২১ শতাংশ।

গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছে ইংল্যান্ডের রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেন যাতে যুক্ত ছিলেন বিশ্বের ৪২ টি দেশের ২১০ জন বিজ্ঞানী।

২০১৯ সালে ৪ হাজারেরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ছত্রাক আবিষ্কৃত হয়েছিল। যার মধ্যে ইউরোপ এবং চীনে রয়েছে অ্যালিয়ামের (পেঁয়াজ –রসুন জাতীয় উদ্ভিদের প্রজাতি) ছয়টি প্রজাতি, পেঁয়াজ এবং রসুনের একই গ্রুপ, ক্যালিফোর্নিয়ায় পালং শাকের ১০টি প্রকারভেদ এবং কাসাভা’র দুটি বুনো প্রজাতি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই উদ্ভিদগুলো জলবায়ু সঙ্কটের মধ্যে ভবিষ্যতে বিশ্বের ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্যে সহায়তা করতে পারবে।  

ইংল্যান্ডের রয়্যাল বোটানিকাল গার্ডেনের বিজ্ঞান বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক অ্যালেক্সান্দ্রে অ্যান্তোনেলি বলেন, “উদ্ভিদ এবং ছত্রাক ছাড়া আমরা বাঁচতে পারবো না। সকল জীবনই তাদের ওপর নির্ভরশীল। এখনই সময় উদ্ভিদের এই গোপন রত্নভান্ডার খুলে দেওয়ার।”

তিনি বলেন, “প্রত্যেকবার যখন আমরা একটি করে উদ্ভিদের প্রজাতি হারাই, তখন প্রকৃত অর্থে মানবজাতির জন্য একটি করে সুযোগ হারাই। সময়ের বিপরীতে যে লড়াই সেখানে আমরা হেরে যাচ্ছি। উদ্ভিদের প্রজাতিগুলোকে খুঁজে পাওয়া এবং নামকরণের আগেই সেগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।”

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান উদ্ভিদের প্রজাতিরগুলোর খুব সামান্য অংশই খাবার এবং জৈব জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ৭ হাজারেরও বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ ভবিষ্যতের ফসল হওয়ার সম্ভাবনা রাখে, তবুও বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য এর অল্পই ব্যবহৃত হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, প্রায় আড়াই হাজার জাতের উদ্ভিদ রয়েছে যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জন্য শক্তি সরবরাহ করতে পারে। অথচ ভুট্টা, আখ, সয়াবিন, পাম তেল, রেপিসিড এবং গম এই ছয়টি ফসল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জৈব জ্বালানীর যোগান দিয়ে যাচ্ছে।
 





Source link