চুয়াডাঙ্গা ১০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন মুন্নী সাহা


অসুস্থতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে ‘এক টাকার খবর’র সম্পাদক মুন্নী সাহাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, পুলিশ মুন্নি সাহাকে আটক করেনি। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে তাকে ডিবিতে আনার পর প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড়টা-দুইটার মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ হবে।

এর আগে, শনিবার রাতে তাকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কেনার সময় জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মুন্নি সাহাকে।

আটকের আগে মুন্নী সাহা টেলিফোনে গণমাধ্যমকে জানান, অফিস থেকে বের হয়ে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনছিলেন। এসময় কিছু লোক তাকে দেখে হইচই শুরু করে। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা-পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় সাংবাদিক মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।

ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। এটিএন নিউজের শুরু থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ৩১ মে মুন্নী সাহা এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।

সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুন্নী সাহাসহ ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

এমএইচটি



সুত্র ঢাকামেইল

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

পরিবারের জিম্মায় মুক্ত হলেন মুন্নী সাহা

আপডেটঃ ০২:১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪


অসুস্থতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে ‘এক টাকার খবর’র সম্পাদক মুন্নী সাহাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, পুলিশ মুন্নি সাহাকে আটক করেনি। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে তাকে ডিবিতে আনার পর প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড়টা-দুইটার মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ হবে।

এর আগে, শনিবার রাতে তাকে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কেনার সময় জনতার তোপের মুখে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মুন্নি সাহাকে।

আটকের আগে মুন্নী সাহা টেলিফোনে গণমাধ্যমকে জানান, অফিস থেকে বের হয়ে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনছিলেন। এসময় কিছু লোক তাকে দেখে হইচই শুরু করে। একপর্যায়ে তারা তাকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা-পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাকে ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় সাংবাদিক মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।

ভোরের কাগজ দিয়ে মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু। সেখান থেকে তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়। এটিএন নিউজের শুরু থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ৩১ মে মুন্নী সাহা এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম।

সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুন্নী সাহাসহ ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

এমএইচটি



সুত্র ঢাকামেইল