চুয়াডাঙ্গা ১১:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয় শাহ ও ভারতকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন আইসিসির বিদায়ী চেয়ারম্যান


দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালন করার পর আইসিসি থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে। গত ৩০ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের এই ক্রীড়া প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

বার্কলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সদ্য সাবেক সচিব জয় শাহ। গত ১ ডিসেম্বর নতুন দায়িত্বে এসেছেন ৩৬ বছর বয়সী জয় শাহ। তিনি আইসিসির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান।

আইসিসিতে ভারতের প্রভাব–প্রতিপত্তি কেমন, তা কারও অজানা নয়। জয় শাহ শীর্ষ পদে আসীন হওয়ায় আইসিসিতে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য আরও বাড়বে, কেউ কেউ এমন ধারণাও করছেন। যদিও বিদায়ী চেয়ারম্যান বার্কলে মনে করেন, বিশ্ব ক্রিকেটকে ভালোভাবে সামলানোর বড় সুযোগ জয় শাহর সামনে। কিন্তু তিনি যদি প্রভাব খাটিয়ে আইসিসিকে ভারতের কবজায় নিয়ে নেন, তা ক্রিকেটের জন্য সহায়ক হবে না।

আইসিসি থেকে বিদায়কালে বার্কলে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে এখন এত খেলা হয় যে কখন–কোথায়–কোন দলের ম্যাচ চলছে, তা বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ পদে থেকেও নিয়মিত খোঁজ রাখতে পারেননি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান বার্কলে। সাক্ষাৎকারে ৬৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেট সংগঠক আইসিসিতে জয় শাহর নেতৃত্ব ক্রিকেটকে কীভাবে সুবিধা দিতে পারে তা যেমন বলেছেন, তেমনি দিয়েছেন সতর্কবার্তাও, ‘সে যে ভিত্তি পেয়েছে, আমি মনে করি, সেখান থেকে তার সামনে খেলাটিকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ। কিন্তু খেলাটিকে ভারতের কবজায় নিয়ে গেলে চলবে না। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে সব দিক থেকেই ভারত খেলাটির জন্য বিশাল অবদান রাখছে। অন্যদিকে একটা দেশের এত ক্ষমতা ও প্রভাব অন্য অনেক অর্জনকে নষ্ট করে দিতে পারে, যা খেলাটিকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার দিক থেকে সহায়ক নয়।’

বিদায়ী চেয়ারম্যান বার্কলে আরও বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার ক্ষমতা জয় শাহর আছে। সবাইকে একত্র করতে এবং ক্রিকেটকে আরও বিকশিত করতে ভারত সাহায্য করতে পারে, এমন অনেক বিষয় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ—কম কর বা খরচের সুবিধা নিতে বিদেশে তারা একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থানান্তর করতে পারে, তাদের দলগুলোকে ছোট ও উদীয়মান দলের বিপক্ষে (আরও বেশি) খেলার সুযোগ করে দিতে পারে, এ ছাড়া (আইসিসির) সদস্য দেশগুলোকে লাভবান করে তুলতে তাদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে এবং (ক্রিকেটের) নতুন অঞ্চল ও বাজার খুলতে পারে।’

প্রসংঙ্গ :

Powered by WooCommerce

জয় শাহ ও ভারতকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন আইসিসির বিদায়ী চেয়ারম্যান

আপডেটঃ ১২:৩৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪


দীর্ঘ চার বছর দায়িত্ব পালন করার পর আইসিসি থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে। গত ৩০ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের এই ক্রীড়া প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

বার্কলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সদ্য সাবেক সচিব জয় শাহ। গত ১ ডিসেম্বর নতুন দায়িত্বে এসেছেন ৩৬ বছর বয়সী জয় শাহ। তিনি আইসিসির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান।

আইসিসিতে ভারতের প্রভাব–প্রতিপত্তি কেমন, তা কারও অজানা নয়। জয় শাহ শীর্ষ পদে আসীন হওয়ায় আইসিসিতে ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য আরও বাড়বে, কেউ কেউ এমন ধারণাও করছেন। যদিও বিদায়ী চেয়ারম্যান বার্কলে মনে করেন, বিশ্ব ক্রিকেটকে ভালোভাবে সামলানোর বড় সুযোগ জয় শাহর সামনে। কিন্তু তিনি যদি প্রভাব খাটিয়ে আইসিসিকে ভারতের কবজায় নিয়ে নেন, তা ক্রিকেটের জন্য সহায়ক হবে না।

আইসিসি থেকে বিদায়কালে বার্কলে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে এখন এত খেলা হয় যে কখন–কোথায়–কোন দলের ম্যাচ চলছে, তা বিশ্ব ক্রিকেটের শীর্ষ পদে থেকেও নিয়মিত খোঁজ রাখতে পারেননি।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান বার্কলে। সাক্ষাৎকারে ৬৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেট সংগঠক আইসিসিতে জয় শাহর নেতৃত্ব ক্রিকেটকে কীভাবে সুবিধা দিতে পারে তা যেমন বলেছেন, তেমনি দিয়েছেন সতর্কবার্তাও, ‘সে যে ভিত্তি পেয়েছে, আমি মনে করি, সেখান থেকে তার সামনে খেলাটিকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার বড় সুযোগ। কিন্তু খেলাটিকে ভারতের কবজায় নিয়ে গেলে চলবে না। আমরা সত্যিই ভাগ্যবান যে সব দিক থেকেই ভারত খেলাটির জন্য বিশাল অবদান রাখছে। অন্যদিকে একটা দেশের এত ক্ষমতা ও প্রভাব অন্য অনেক অর্জনকে নষ্ট করে দিতে পারে, যা খেলাটিকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার দিক থেকে সহায়ক নয়।’

বিদায়ী চেয়ারম্যান বার্কলে আরও বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার ক্ষমতা জয় শাহর আছে। সবাইকে একত্র করতে এবং ক্রিকেটকে আরও বিকশিত করতে ভারত সাহায্য করতে পারে, এমন অনেক বিষয় রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ—কম কর বা খরচের সুবিধা নিতে বিদেশে তারা একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থানান্তর করতে পারে, তাদের দলগুলোকে ছোট ও উদীয়মান দলের বিপক্ষে (আরও বেশি) খেলার সুযোগ করে দিতে পারে, এ ছাড়া (আইসিসির) সদস্য দেশগুলোকে লাভবান করে তুলতে তাদের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আইসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে এবং (ক্রিকেটের) নতুন অঞ্চল ও বাজার খুলতে পারে।’