১৬ বছর পর ফুটবল বিশ্বে এমন কিছু ঘটেছে, যা অস্বাভাবিক না, কিন্তু আশ্চর্যজনক। লিওনেল মেসির নাম নেই ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। তবে মেসি সান্ত্বনা পেতে পারেন তার বন্ধু ও সতীর্থ নেইমার থেকে, তিনিও যে নেই এই তালিকায়।
মেসির সবশেষ মৌসুমটা ভালো কাটেনি মোটেও। পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিনি গোলে অবদান রাখতে পেরেছেন মোটে ২৫টি। দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ব্যর্থতার দায়ও তার ওপর এসে বর্তায় কিছুটা। সবকিছুর মিশেলেই রেকর্ড সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি এবার নেই এই সংক্ষিপ্ত তালিকায়। সবশেষ ২০০৫ সালে এই তালিকায় নাম ছিল না তার।
নেইমারও নেই অনেকটা একই কারণে। তবে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা সবশেষ মৌসুমে চোটের কারণে খেলতে পারেননি একটা বড় সময়।
গেল মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রিমিয়ার লিগে হয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। যদিও তার দল ইউনাইটেড তার এমন পারফর্ম্যান্সকে কাজে লাগাতে পারেনি মোটেও, লিগে ষষ্ঠ হয়ে নেমে গেছে ইউরোপা লিগে। তবে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সের জোরে রোনালদো টিকে গেছেন এই তালিকায়।
এছাড়া কারিম বেনজেমা গেল মৌসুমে আগুনে পারফর্ম্যান্সের পর আছেন এই তালিকায়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ৪৪ গোল করে তিনি দলকে জিতিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সে কারণে তাকেই এই পুরস্কারের সবচেয়ে বড় দাবিদার ধরা হচ্ছে।
এই তালিকায় আছেন সদ্য ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমানো আর্লিং হালান্ড, বায়ার্ন মিউনিখ থেকে বার্সেলোনায় যাওয়া রবার্ট লেভান্ডভস্কি। প্রিমিয়ার লিগের দুই সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহামেদ সালাহ, সন হিউং মিনও আছেন এই তালিকায়।
আগামী ১৭ অক্টোবর গেল মৌসুমের সেরা ফুটবলারের হাতে তুলে দেওয়া হবে এই পুরস্কার।