চুয়াডাঙ্গা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তীব্র তাপদাহ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

 

এ নিয় টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায় । এটি চলতি মৌসুমের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে।

 

গত ২ এপ্রিল রোববার থেকে টানা ১২ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা হলো রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

 

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।

প্রসঙ্গঃ
জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত লাশটি ভাংবাড়িয়ার টিকটকার মুন্নির

avashnews
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তীব্র তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি

প্রকাশ : ০৫:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তীব্র তাপদাহ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রী সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

 

এ নিয় টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রেকর্ড করা হলো চুয়াডাঙ্গায়। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র তাপদাহে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ ও রোজাদাররা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায় । এটি চলতি মৌসুমের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে।

 

গত ২ এপ্রিল রোববার থেকে টানা ১২ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা হলো রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রী সেলিসয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ বৃহস্পতিবার ৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তারপর মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে তা তীব্র তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

 

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।