চুয়াডাঙ্গা ১১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার শঙ্কা

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ গভীর নিম্নচাপটি দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী শনিবার রাত থেকে রোববার সকালের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকায়। গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে এ আশঙ্কায় সব ধরনর প্রস্তৃুতি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্র থেকে সব নৌযানকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই। কোনো সংকেতও দেখাতে হবে না।

 

তাপপ্রবাহ: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবারের পর তাপমাত্রা কমতে পারে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ‘মোখা’য় পরিণত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে তা অতিক্রম করতে পারে রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ। রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানতে পারে। এর অগ্রবর্তী অংশ আরও ১২ ঘণ্টা আগেই স্পর্শ করবে।

 

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। এটি বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পেতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আর তখন এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। তিনি বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়। এটি ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আঘাত হানার শঙ্কা

প্রকাশ : ০৭:৫০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ গভীর নিম্নচাপটি দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী শনিবার রাত থেকে রোববার সকালের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে কক্সবাজার বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের নিচু এলাকায়। গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে এ আশঙ্কায় সব ধরনর প্রস্তৃুতি নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গভীর সমুদ্র থেকে সব নৌযানকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কবার্তা নেই। কোনো সংকেতও দেখাতে হবে না।

 

তাপপ্রবাহ: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রা: সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবারের পর তাপমাত্রা কমতে পারে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ‘মোখা’য় পরিণত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে তা অতিক্রম করতে পারে রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ। রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানতে পারে। এর অগ্রবর্তী অংশ আরও ১২ ঘণ্টা আগেই স্পর্শ করবে।

 

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। এটি বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ পেতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আর তখন এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। তিনি বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়। এটি ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে।