নাটোরের নলডাঙ্গায় সরকারি জিয়া খালের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। রোববার ( ৮ ডিসেম্বর) সকালে নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন— নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের বাঁশিলা গ্রামের বাসিন্দা ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এন্তাজ আলী (৫২), ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক (৩২), মৎস্যজীবী হাবিবুর রহান (৪৫) এবং হালতি গ্রামের মো. সেলিম (২৩, মো.উজ্জল (২২), তার বোন রুপালি (২৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নলডাঙ্গা উপজেলার বাশিলা ও হালতি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরেন্দ্র বহুমুখি প্রকল্পের পূর্ণখননকৃত জিয়া খাল উন্মুক্ত জলাশয় হিসাবে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী ভোগ করে আসছিলো। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে বাঁশিলা গ্রামবাসী হালতি বিলের বাঁশিলা মৌজার অংশ বাঁশিলা গ্রামবাসী ও মৎস্যজীবিরা মাছ শিকারের জন্য দখলে নেয় অন্যদিকে হালতি গ্রামের অংশে হালতি গ্রামবাসী দখল নেয়।
রোববার সকালে জিয়া খালের হালতি বিল অংশে মাছ শিকারের জন্য দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মী ফলেন গ্রুপ ও বাঁশিলা গ্রামের মৎস্যজীবির পক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক জিয়া গ্রুপের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বাঁশিলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালটি পূরোপুরি দখল নিতে যায়।এতে বাধা দেয় হালতি গ্রামের লোকজন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় খালের ধারে থাকা পাহারা কক্ষ ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা।এতে নারীসহ উভয় পক্ষের আন্তত ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকালে হালতি বিলের সরকারি জিয়াখালের দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রুপের নেতৃত্বদানকারীরা বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জেনেছি। ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এখন এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে জানান , এই পুলিশ কর্মকর্তা।#
গোলাম রাব্বানী/এসএমডব্লিউ