কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে লিওনের মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার। তবে এ তারকার অর্জনের খাতায় এখনো অনেক কিছু যোগ হওয়ার বাকি। এ যেমন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে আর দুটি গোলের দেখা পেলে তিনি স্পর্শ করবেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনন্য এক মাইলফলক।
২০২২ সালটা স্বপ্নের মতো কেটেছে লিওনেল মেসির। কারণ এ বছরেই যে তার হাতে উঠেছে বহুল প্রতীক্ষিত ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনা জিতেছে তাদের তৃতীয় শিরোপা। কাতার বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত মেসির ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা ছিল একটি ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। সে সোনার হরিণ যখন অবশেষে পেয়ে গেলেন; তখন মেসি জানালেন, ফুটবলের কাছে তার আর চাওয়ার কিছু নেই।
ফিফা বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, কনমেবল-উয়েফা কাপ চ্যাম্পিয়ন্স, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপসহ একাধিক ট্রফি যার নামের পাশে; তার আর কী চাই? ব্যক্তিগতভাবে সাত বার ব্যালন ডি’অর জেতা মেসিকে আগামীতে এ অর্জনে কেউ পেছনে ফেলতে পারবে কিনা সেটা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়।
তবে একটা জায়গায় এখনো অপূর্ণ রয়ে গেছেন মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সেরার বিতর্ক শেষ হলেও আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় পর্তুগিজ তারকার চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১৮ গোল করে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোনালদো শীর্ষে থাকলেও মেসি এখনো শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।
শততম গোলের মাইলফলক থেকে মেসি মাত্র দুই গোল দূরে আছেন। ১৯২ ম্যাচ শেষে তার গোল সংখ্যা ৯৮। বিশ্বকাপ জয়ের পর শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোরে প্রথমবার মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। পানামার বিপক্ষে ওই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে খেলবেন মেসিও। হয়তো এ ম্যাচেই বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করে নিতে পারেন মেসি।
এ ম্যাচের পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২৮ মার্চ আরও একটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে কিউরাসাওয়ের। ফলে এ মাসেই নিজের অর্জনের খাতায় আরও একটি মাইলফলক যোগ করার সুবর্ণ থাকছে মেসির সামনে।